৩০ মে, ২০১৭ ১৪:০০

'মোরা' কেড়ে নিল ৬ প্রাণ

অনলাইন ডেস্ক

'মোরা' কেড়ে নিল ৬ প্রাণ

সংগৃহীত ছবি

ঘূর্ণিঝড় 'মোরা'র আঘাতে তিন জেলায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কক্সবাজারে তিনজন, রাঙামাটিতে দুইজন এবং ভোলায় একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

কক্সবাজারে মৃতরা হলো, পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের ৬নং জেডিঘাট এলাকায় বদিউল আলমের স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৫৫), চকরিয়ার বড়ভেওয়া এলাকার মৃত নূর আলম সিকদারের স্ত্রী সায়েরা খাতুন (৬৫) ও একই উপজেলার পূর্ব জুমখালী এলাকার আবদুল জব্বারের ছেলে রহমত উল্লাহ (৫০), রাঙামাটির আসাম বস্তির নারকেল বাগান এলাকার হাজেরা বেগম (৪৫) ও রাঙামাটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ও ভেদভেদি এলাকার মাহিমা আক্তার (১৩) এবং ভোলার কলাতলীর চরের মৃত রাশেদ (০১) স্থানীয় সালাউদ্দিনের ছেলে।

এদিকে, কক্সবাজারে সকাল ৭টার দিকে ঝড় থেকে বাঁচতে আশ্রয়কেন্দ্রে আসার পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চকরিয়া উপজেলায় ঝড়ে গাছচাপায় আরো দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহাবুবুর রহমান জানান, কক্সবাজার পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ল্ড ভিশন আশ্রয়কেন্দ্রে ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্কে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে একজন নারী ও একজন পুরুষ মারা গেছেন। তাদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক আলী হোসেন তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রাঙামাটিতে ঝড়ে হাজেরা বেগমের ঘরের উপর গাছ ভেঙে পড়ে। এসময় ঘরের ভেতরে থাকা হাজেরা বেগম গাছ চাপায় নিহত হন এবং তার ছেলে জুনায়েদ (৫) আহত হয়। অন্যদিকে ঘরের উপর গাছ ভেঙে পড়ায় মাহিমা নিহত হয়। এসময় মাহিমা ছাড়া কেউ ঘরে ছিল না।

অন্যদিকে, ভোলার মনপুরা উপজেলার আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার পথে শিশু রাশেদের মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক সেলিম উদ্দিন।

ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি গতির বাতাস নিয়ে ভোর ৬টার দিকে কুতুবদিয়ার নিকট দিয়ে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম শুরু করে ঘূর্ণিঝড়টি। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এটি কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করে চট্টগ্রামের দিকে অগ্রসর হয়। এটি আরো উত্তরে ভারতের মনিপুরের দিকে অগ্রসর হয়েছে। এখন সেটি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে স্থলনিম্নচাপে পরিণত হবে।  

এদিকে, মোরার প্রভাবে ঝড়ো বাতাস ও ভারি বৃষ্টিতে কক্সবাজার উপকূলের শত শত ঘরবাড়ি ধসে গেছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে এবং গাছ পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। জলোচ্ছ্বাসের ফলে প্লাবিত হয়েছে বহু এলাকা।

বিডি প্রতিদিন/৩০ মে ২০১৭/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর