৩০ মে, ২০১৭ ১৭:৩৫

পানিতে 'দুর্নীতি হচ্ছে', স্বীকার করলেন মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

পানিতে 'দুর্নীতি হচ্ছে', স্বীকার করলেন মন্ত্রী

ফাইল ছবি

পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, দুর্নীতি যে হচ্ছে না- তা আমি বলবো না। এখানেও কিছু দুর্নীতি হচ্ছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে ঢালাওভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তা ধ্বংস করার কোনো মানে হয় না। কোন প্রকার অনিয়ম, দুর্নীতি বা কোন অবহেলার কারণে হাওরের বাঁধগুলো ভেঙ্গে গিয়েছে কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বাজেট অধিবেশনের প্রথমদিন মঙ্গলবারের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর পর্বে হাবিবুর রহমান মোল্লার (ঢাকা-৫) সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। 

তিনি জানান, পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মার্চ মাসের শেষে সুনামগঞ্জসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ছয় জেলায় বাঁধের ওপর দিয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতায় পানি প্লাবিত হয়। ফলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অধিকাংশ হাওর প্লাবিত হয়। বন্যাকবলিত এলাকায় নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে। 

১ হাজার ১২৫ কোটি টাকার বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধার প্রকল্প
সংসদ সদস্য এম এ মালেকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ঢাকার চতুর্দিকের নদীগুলোকে দূষণমুক্ত করতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ১ হাজার ১২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত ‘বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধার (নতুন ধলেশ্বরী-পুংলী-বংশী-তুরাগ-বুড়ি গঙ্গা রিভার সিস্টেম) শীর্ষক একটি প্রকল্পের কাজ বর্তমানে চলমান। উক্ত প্রকল্পের আওতায় টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও ঢাকা জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নতুন ধলেশ্বরী-পুংলী-বংশী-তুরাগ নদী খননের কার্যক্রম অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে বুড়িগঙ্গা নদীতে পানির প্রবাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে পানির গুণগতমান বৃদ্ধি, তুরাগ-শীতলক্ষ্যাসহ বুড়িগঙ্গা নদীর ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি, সেচ ও মৎস্য সম্পদেও উন্নয়ন অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত উন্নয়ন সাধিত হবে বলে জানান তিনি। 

দিদারুল আলমের অপর একটি প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সমগ্র বাংলাদেশ ব্যাপী নদী/খাল পুনঃখননের লক্ষ্যে একটি প্রকল্প প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রস্তাবিত ডিপিপিতে মোট ৭ হাজার ৬২০ কিলোমিটার খাল খনন বা পুনঃখনন ও ৪ হাজার ৮১৫ কিলোমিটার বাঁধ মেরামত বা পুনরাকৃতিকরণের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে সেচ সুবিধার জন্য খাল খনন কর্মসূচি গ্রহণ করা সম্ভব হবে।

 

বিডি প্রতিদিন/৩০ মে, ২০১৭/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর