২৮ জুন, ২০১৭ ১৯:৫৯

বাজেট বাস্তবায়নের গতি বাড়ানোর আহ্বান রওশনের

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাজেট বাস্তবায়নের গতি বাড়ানোর আহ্বান রওশনের

ফাইল ছবি

বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হলে অবশ্যই বিশাল বাজেট দিতে হবে। দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ বাজেট দিয়ে জাতিকে আলো দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এবারই প্রথম সংসদে সত্যিকারের মতো বাজেটের ওপর প্রাণবন্ত আলোচনা হয়েছে। অতীতে তা কখনোই হয়নি। কিন্তু বাজেট বাস্তবায়নের গতি না বাড়ানো হলে কাঙ্খিত উদ্দেশ্যে আসবে না। আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে পারবো না। 

একইসঙ্গে তিনি ভ্যাট, আবগারি শুল্কসহ যেসব বিষয় নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে তা বিবেচনা করে বাজেটকে দারিদ্র্য ও উন্নয়ন বান্ধব করার আহ্বান জানান। 

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজ বুধবারের সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান। 

বিরোধী দলীয় নেতা সরকারকে বাজেট বাস্তবায়নে সতর্ক করে দিয়ে আরও বলেন, বড় বাজেটে বড় প্রকল্প মানেই বড় লুটপাট। এটা বন্ধ করতে হবে। 

তিনি বলেন, ভ্যাট নিয়ে ব্যবসায়ী মহলে বড় ধরনের দুশ্চিন্তা রয়ে গেছে। এই ভ্যাট গ্রহণযোগ্য নয়। 

এক লাখ টাকা ব্যাংক আমানতের ওপর আবগারি শুল্কারোপের সমালোচনা করে রওশন এরশাদ বলেন, এক লাখ টাকা থাকলেই কেউ বিত্তশালী হয় না। বর্তমান বাজারে এক লাখ কোনো টাকাই না। তিনি মেডিটেশনের ওপর ভ্যাট আরোপের সমালোচনা করেন। 

বিরোধী দলীয় নেতা ব্যাংকের আবগারি শুল্ক, সঞ্চয়পত্রে সুদের হার কমানো ও কৃষিপণ্যের ওপর থেকে ট্যাক্স-আবগারি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানান। 

রওশন এরশাদ বলেন, বাজেটের লক্ষ্য পূরণে কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হলে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে। বাজেটে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রার কথা উলে­খ করে তিনি বলেন, এই লক্ষ্য অর্জনে প্রবৃদ্ধি আরো বাড়াতে হবে। তা না হলে কাঙ্খিত সময়ের মধ্যে কিভাবে উন্নত দেশে পরিণত হবে? এবারের বৃহৎ বাজেটের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয় ও ’৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত করতে হবে। বিগত ৬-৭ বছরে দেশের প্রবৃদ্ধির হার ধারাবাহিকভাবে ৬ শতাংশের ওপরে রাখায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রবৃদ্ধির এ হার প্রতিবেশী দেশসমূহের তুলনায় বেশী। 

তিনি বলেন, বাজেটের লক্ষ্য অর্জনে বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে না পারলে তারা বিপথে যাবে, মাদক গ্রহণ করবে, জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়বে। যানজট যেভাবেই হোক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ভেজালের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

শিক্ষার মানোন্নয়নের দাবি জানিয়ে রওশন এরশাদ বলেন, স্কুল-কলেজ বাড়ালেই চলবে না, শিক্ষার মান বাড়াতে হবে। কোচিং ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। নোট বই নিষিদ্ধ করতে হবে। নতুন প্রজন্ম সারারাত জেগে ইউটিউব, ফেসবুক দেখছে। ঘুম থেকে উঠছে দুপুর ১২টায়। যা নতুন প্রজন্মের জন্য বিপদ ডেকে আনছে। সৌদি আরব, চীনসহ বিভিন্ন দেশে এটা বন্ধ আছে। বাংলাদেশেও রাত ১১টার পর এটা বন্ধ করতে হবে। পাহাড় ধ্বসের কারণ উদঘাটনে সুষ্ঠু তদন্তেরও দাবি জানান তিনি। বলেন, কারা পাহাড় ধ্বংস করেছে, মানুষের জীবন নিয়ে খেলছে- তাদের খুঁজে বের করতে হবে। 

বিডি প্রতিদিন/২৮ জুন ২০১৭/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর