২৯ জুন, ২০১৭ ১৯:৫০

'প্রতিটি উপজেলায় বিশ্ববিদ্যালয় হবে'

নিজস্ব প্রতিবেদক

'প্রতিটি উপজেলায় বিশ্ববিদ্যালয় হবে'

ফাইল ছবি

শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, সকলের জন্য উচ্চ শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে সাধারণ বা বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। বর্তমানে দেশে ১৩৪টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এর মধ্যে ৩৯টি সরকারি ও ৯৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এসকল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ে ভর্তির জন্য মোট ৬ লাখ ২৬ হাজার ৩৫৮টি আসন আছে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বাজেট অধিবেশনে আজ টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে মহিলা এমপি বেগম পিনু খাণের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, প্রতিটি উপজেলায় একটি করে সাধারণ ও বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সরকার ২০০৯ সাল হতে এ পর্যন্ত ৮টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছে। আর ৪২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

সরকারি দলের দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় নামে আরো দু’টি নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ আইনের খসড়া অনুমোদিত করেছে। বিলটি রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য অর্থ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। বিরোধী দলীয় সদস্য নাসরিন জাহান রত্নার প্রশ্নের জবাবে নূরুল ইসলাম নাহিদ জানান, যে সকল উপজেলায় সরকারি কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় নেই সেই সকল উপজেলায় একটি করে কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ করা হবে। 

তরিকত ফেডারেশনের সদস্য এম এ আওয়ালের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যে সকল জেলায় সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় নেই সেই সকল জেলায় বেসরকারি উদ্যোগকে বিশেষ বিবেচনায় নেওয়া হবে।

প্রাথমিকে ২০ হাজার প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য : সংসদে বিরোধী দলের সদস্য এ কে এম মাঈদুল ইসলাম ও সরকারি দলের এম আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানান, দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ২০ হাজার ৫১৬টি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। বিরোধী দলের সদস্য এ কে এম মাঈদুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে নাহিদ জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছে। তাই এই পদের নিয়োগ বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন থেকে সম্পন্ন হবে। ইতিমধ্যে ৩৪ তম বিসিএস থেকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগে সুপারিশ করে ৮৯৮ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রার্থীদের নিয়োগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন ও পুলিশ প্রত্যয়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

মাধ্যমিকে দুই হাজার শিক্ষকের পদ শূন্য : সরকারী দলের মাহফুজুর রহমান ও এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে নূরুল ইসলাম নাহিদ জানান, দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে বিষয়ভিত্তিক প্রায় দুই হাজার শিক্ষকের পদ শুন্য আছে। সহকারী শিক্ষকের পদটি দ্বিতীয় শ্রেণীর গ্রেজেডভ‚ক্ত করায় এসকল পদে নিয়োগের জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের বিষয়টি বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের এখতিয়ারাধীন। এলক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট নিয়োগ বিধি সংশোধন করা হয়েছে। এরপর শুন্য পদের বিপরীতে নিয়োগের কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। পিএসপিস সহকারী শিক্ষকের (বিষয়ভিত্তিক) শূন্য পদে নিয়োগের জন্য ৪৫০ জন প্রার্থীর নাম সুপারিশ করেছে।

প্রতিটি ইউনিয়নে সরকারি কারিগরি বিদ্যালয় : জাতীয় পার্টির নূরুল ইসলাম ওমরের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে সরকারিভাবে কারিগরি বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে। এই পরিকল্পনার আওতায় না হলেও বর্তমানে ইউনিয়ন পর্যায়ে এমপিওভূক্ত কারিগরি বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় রয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/২৯ জুন ২০১৭/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর