২৯ জুন, ২০১৭ ২০:১৪

'এক কোটি ৬ লাখ টন চালের মজুদ রয়েছে'

নিজস্ব প্রতিবেদক

'এক কোটি ৬ লাখ টন চালের মজুদ রয়েছে'

ফাইল ছবি

খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম বলেছেন, বর্তমানে প্রকৃত অর্থে চালের কোনো ঘাটতি নেই। দেশ বর্তমানে এক কোটি ৬ লাখ মেট্রিক টনের বেশি চাল মজুদ রয়েছে। সরকারি মূল্য ও বাজার মূল্যের তারতম্যের কারণে চালের বাজারে অস্তিরতা তৈরি হয়েছিল। তবে বন্যাসহ প্রাকৃতিক দূর্যোগ, বিভিন্ন সময়ে সরকারের সামাজিক বিভিন্ন কর্মসূচিতে চাল বিতরণ ইত্যাদি কারণে চালের কাঙ্ক্ষিত মজুদ করা সম্ভব হয়নি। আগামি দিনের যে কোনো দূর্যোগ মোকাবেলায় সরকার আমদানি করছে। ইতিমধ্যে ভিয়েতনাম থেকে ২.৫০ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে। ভিয়েতনাম ও ভারত থেকে ৪ লাখ মেট্রিক টন চাল পাইপলাইনে রয়েছে।

জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে আজ প্রস্তাবিত বাজেটের মঞ্জুরি দাবির ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।  চালের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারি মূল্য ও বাজার মূল্যের তারতম্যের কারণে চালের বাজার অস্তিরতা তৈরী হয়েছিল। আমি আগেই এনবিআরের কাছে চালের আমদানি শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়ে আসছিলাম। শেষ পর্যন্ত সরকার আমদানি শুল্ক কমিয়েছে। এখন আশা করছি চালের মূল্য নিয়ন্ত্রনে আসবে। খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আমি  আশা করছি ৪ লাখ মেট্রিকটন চাল অভ্যন্তরিণ উৎস থেকে সংগ্রহ করতে পারবো।  আমাদের চালের মজুদ কম থাকায় ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকায় চাল দেওয়ার ওই কর্মসূচীতে চালের পরিবর্তে গম দেওয়া হয়েছিল। আশা করছি চালের আমদানিশুল্ক হ্রাসের পর  পর্যাপ্ত চাল আসবে এবং সরকারের সামাজিক কর্মসূচীতে আবারো চাল বিতরণ করতে পারবো।

খাদ্যমন্ত্রী সংসদে তার মন্ত্রণালয়ে রাষ্ট্রপতির অনুকূলে উন্নয়ন ও উন্নয়ন ব্যয় নির্বাহকল্পে ১৪ হাজার ৪০০ কোটি ৯ লাখ ৮১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেন।

বিডি প্রতিদিন/২৯ জুন ২০১৭/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর