২০ জুলাই, ২০১৭ ১৭:১৭

মাদক নিয়ন্ত্রণে দৃঢ় অবস্থানে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

মাদক নিয়ন্ত্রণে দৃঢ় অবস্থানে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

মাদক নিয়ন্ত্রণে সরকারের দৃঢ় অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মাদক পাচার রোধে ইতোমধ্যে নাফ নদীতে সাময়কিভাবে মাছ ধরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ বিষয়ে 'বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর এনসিডি কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন’-এর একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এলে একথা বলেন তিনি। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রেস সচিব বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ড্রাগ এডিকশন, হিরোইন, ইয়াবা এগুলোকে চেক দিতে হবে। সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে।
‘নাফ নদীতে কিছু দিন মাছ ধরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।
টেকনাফের নাফ নদী দিয়ে প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমার থেকে প্রায়ই ইয়াবা পাচারের খবর পাওয়া যায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার থেকে মাঝোমাঝেই ইয়াবা আটক করে। ১০ সদস্যের ডাক্তার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন জাতীয় অধ্যাপক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল মালিক। সঙ্গে ছিলেন অধ্যাপক দীন মোহাম্মদসহ প্রমূখ।
প্রধানমন্ত্রী এসময় রোগ প্রতিরোধের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং সচেতনতার বাড়ানোর ওপর জোর দেন। ডাক্তারদের প্রতিনিধিদল অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কাজ করার এবং তামাক মুক্ত দেশ গড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন বলে জানান প্রেস সচিব।
এর আগে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একনেকে অনুমোদিত- সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালসমূহের উন্নয়ন এবং সরকারি কলেজসমূহের বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ- শীর্ষক প্রকল্পের সংশোধিত নকশা উপস্থাপন করা হয়।
এসময় প্রস্তাবিত- শের-ই-বাংলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ (সাবেক নারী শিক্ষা মন্দির) এবং গোপালগঞ্জের শেখ রাসেল উচ্চ বিদ্যালয়- শীর্ষক প্রকল্পের নকশা উপস্থাপন করা হয়।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানাজালা প্রধানমন্ত্রীর সামনে বিদ্যালয় দুটির নক্সার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী তা দেখে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেন বলে জানান প্রেস সচিব।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিদ্যালয় ভবনগুলোতে আলো-বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা এবং টানা বারান্দা থাকতে হবে।
এছাড়াও জরুরি বর্হিগমন ব্যবস্থা, অগ্নিসংকেত ব্যবস্থা, টয়লেটগুলোতে ছুটির ঘন্টার ব্যবস্থা; যাতে স্কুল ছুটির পর কোন শিক্ষার্থী যেন সেখানে আটকা না থাকে-এসব ব্যবস্থা রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেন বলে জানান ইহসানুল করিম।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, মূখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার‌্যালয় সচিব সুরাইয়া বেগম, শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসেন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর