২১ আগস্ট, ২০১৭ ১১:৫০

৩ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতকে নিয়ে আইএসে 'আত্মঘাতী বোমারু' তাবিরুল

অনলাইন ডেস্ক

৩ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতকে নিয়ে আইএসে 'আত্মঘাতী বোমারু' তাবিরুল

সংগৃহীত ছবি

ইন্টারপোলের খোঁজাখুঁজির কারণে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর আত্মঘাতী বোমারু হিসেবে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় আলোচনায় আসা কানাডীয়ান নাগরিক তাবিরুল হাসিবের সঙ্গে আরও তিনজন কানাডা থেকে পালিয়ে গিয়েছিলো। আইএসের হয়ে যুদ্ধ করতে সিরিয়ায় পাড়ি জমানো সমবয়সী চার বন্ধুই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। টরন্টোর বাঙালী অধ্যূষিত এলাকায় পরিবারের সঙ্গে বাস করতো তারা। তবে তাবিরুল হাসিব এখন আদৌ বেঁচে আছে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে গোয়েন্দাদের মধ্যে। খবর নতুন দেশ-এর।

কানাডার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তাবিরুল হাসিবের সাথে সিরিয়ায় পাড়ি জমানো অপর তিন তরুণ হচ্ছে আবদুল মালেক, নুরু ও আদিব। ২০১২ সালে মধ্যপ্রাচ্যগামী একটি ফ্লাইট ধরে তারা কানাডা ছেড়ে যায়। সিরিয়ায় পৌছেঁই তারা নিরাপদে ‘গন্তব্যে’ পৌঁছার সংবাদটিও টেলিফোনে তাদের বাবা মাকে জানিয়েছিলো।

সূত্র মতে, চারজন এক সঙ্গে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর উদ্বিগ্ন বাবা-মা পুলিশের কাছে ‘সন্তান নিখোঁজ’ হয়ে যাওয়ার রিপোর্ট করে। আরসিএমপি এবং বর্ডার এজেন্সীর সদস্যদের তুমুল জিজ্ঞাসাবদের মুখে পরে তারা। পরে সরকারের সহযোগিতা নিয়ে চারজনের অভিভাবকরাই সিরিয়া থেকে তাদের ফিরিয়ে আনে। কিন্তু ২০১৪ সালের জুলাই মাসে তারা আবার কানাডা ছেড়ে যায়।

জানা যায়, আইএস এর হয়ে সিরিয়ায় যুদ্ধ করতে যাওয়া চার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুনেরই জন্ম কানাডায়। তবে তাদের বাবা-মা বাংলাদেশ থেকে অভিবাসন নিয়ে কানাডায় এসেছিলেন। টরন্টোর বাঙালি পাড়ায় ছিলো তাদের বসবাস। তাবিরুল হাসিব মনার্ক পার্ক কলেজিয়েট স্কুল থেকে পাশ করে সেন্টিনিয়েল কলেজে পড়াশোনা করে। তবে তার সঙ্গী আবদুল মালেককে তার বাবা-মা কখনোই কোনো পাবলিক স্কুলে পাঠাননি। কোরআন মুখস্ত করতে তাকে পাঠিয়েছিলেন একটি মাদ্রাসায়। স্কারবোরো এলাকার একটি মসজিদের ইয়ুথ প্রোগ্রামের সঙ্গেও সে জড়িত ছিলো। তবে এই দুইজনের সঙ্গী নুরু ও আদিব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

ইন্টারেপোলে আইএস এর আত্মঘাতী বোমারু হিসেবে তাবিরুল হাসিবের নাম আসায় কানাডার গোয়েন্দা সংস্থা এবং যারা চরমপন্থীদের নিয়ে গবেষণা করেন তাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তাবিরুল হাসিব আদৌ বেঁচে আছে কি না সেটা নিয়েও তাদের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন, অন্য কেউ হয়তো বা তাবিরুলের নাম ব্যবহার করছে।

কানাডার গোয়েন্দাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, তাবিরুল হাসিবের সাথে আইএসে যোগ দিতে যাওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত চারজনের অন্তত দুইজনই আইএসের হয়ে অভিযান চালাতে গিয়ে মারা গেছে। মালেকের বাবা ২০১৫ সালে কানাডিয়ান সংবাদ মাধ্যম সিবিসিকে জানিয়েছিলেন, তাবিরুল হাসিব তাকে ফোন করে জানিয়েছে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী কোবানী শহরে আইএসের বড় ধরনের একটি অভিযানে অংশ নিতে গিয়ে মালেক মারা গেছে। এরপর হাসিবের মৃত্যু সংবাদও তাদের কাছে এসেছিলো।

তাবিরুল হাসিবকে ইন্টারপোলের খোঁজাখুঁজি করা নিয়ে কানাডা সরকার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রালফ গোডেল এর প্রেস সেক্রেটারি স্কট বার্ডসলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনো অভিযানের ব্যাপারে সরকার কোনো মন্তব্য করে না। 

সূত্র : নতুন দেশ

বিডি-প্রতিদিন/২১ আগস্ট, ২০১৭/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর