১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ১৫:৩৬

মর্ত্যলোকে দেবী দূর্গাকে আমন্ত্রণ

অনলাইন ডেস্ক

মর্ত্যলোকে দেবী দূর্গাকে আমন্ত্রণ

শাস্ত্রমতে দেবী দূর্গার আবাহনই হলো মহালয়া। এর মাধ্যমে মঙ্গলবার মর্ত্যলোকে আমন্ত্রণ জানানো হলো দেবী দূর্গাকে। সূচনা হলো দেবী পক্ষের।

মহালয়াতেই দেবীর পূজা করার যোগ্যতা অর্জিত হয়। চণ্ডীপূজা, চণ্ডীপাঠ ইত্যাদি ধর্মানুষ্ঠানের মাধ্যমে মহালয়া উদযাপিত হয়। এসব ধর্মানুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য সাধনার মাধ্যমে মহতের আলয়ে অর্থাৎ মহালয়ে প্রবেশের জন্য প্রস্তুত হওয়া। এদিন মন্দিরে মন্দিরে বেজে ওঠে শঙ্খধ্বনি।

পুরোহিতদের শান্ত, অবিচল গম্ভীর কণ্ঠে শোনা যায় চণ্ডীপাঠ। এ মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে দেবতারা দূর্গাপূজার জন্য নিজেদের জাগ্রত করেন। তারা সমস্বরে দেবীকে আহ্বান জানান পৃথিবীর ঘোর অন্ধকার দূরীভূত করে মঙ্গল প্রতিষ্ঠায়। মহালয়ার সময় ঘোর অমাবস্যা থাকে। মহাতেজের আলোয় সেই অমাবস্যা দূর হয়। প্রতিষ্ঠা পায় শুভশক্তি।

২৫ সেপ্টেম্বর পঞ্চমীর সায়ংকালে অকাল বোধনে খুলে যাবে মা দুর্গার শান্ত-স্নিগ্ধ অতল গভীর আয়ত চোখের পলক। দূর কৈলাশ ছেড়ে দেবী পিতৃগৃহে আসবেন নৌকায়। সনাতন বিশ্বাসে ‘শস্যবৃদ্ধিস্থাজলম’। অর্থ- অতিবৃষ্টি, বন্য, জলচ্ছ্বাসে একদিকে প্লাবিত হবে অন্যদিকে শস্য বাড়বে। দেবী প্রস্থান করবে ঘোটকে। ৩০ সেপ্টেম্বর বিজয়া দশমীতে ফিরবেন একই বাহনে।

 বিডি প্রতিদিন/১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর