১৭ অক্টোবর, ২০১৭ ২২:১৬

রোহিঙ্গা সমস্যার জরুরি সমাধান চাই: জাতিসংঘে স্পিকার

কফি আনানের সাথে বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক


রোহিঙ্গা সমস্যার জরুরি সমাধান চাই: জাতিসংঘে স্পিকার

ফাইল ছবি

জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে স্থায়ী ও কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা এই সমস্যার জরুরি সমাধান চাই, যাতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নিরাপদভাবে এবং সম্মানের সাথে তাদের ঘরে ফিরতে পারে। প্রতিবেশীদের সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও অর্থপূর্ণ জীবন কাটাতে পারে। রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে এ সমস্যা সমাধান সম্ভব উল্লেখ করে তিনি বলেন এই সংকটের শিকড় মিয়ানমারে এবং এর সমাধানও মিয়ানমারেই নিহিত।

মঙ্গলবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘রোহিঙ্গা সঙ্কট ও বাংলাদেশের মানবিক সহযোগিতা বিষয়ে’ ব্রিফিং অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। 

সংসদ সচিবালয় জানায়, ব্রিফিং অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং মানবিক সহায়তা ও জরুরি ত্রাণ বিষয়ক সমন্বয়কারী মার্ক লকোক। এছাড়া ইউএনএইচসিআর, আইওএম, ইউনিসেফ, ডব্লিউএইচও, রেডক্রস এন্ড রেডক্রিসেন্ট এর প্রতিনিধিগণ ছাড়াও কুয়েত, তুরস্ক, সৌদিআরব, সুইডেন, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, সুইজারল্যান্ড, মিয়ানমার, বাংলাদেশ ও ইইউ’র রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিরাও এই ব্রিফিং অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

ব্রিফিংয়ে মার্ক লকোক সম্প্রতি তার বাংলাদেশ সফর ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প সরেজমিনে পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অমানবিক নির্যাতনের শিকার। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদেরকে আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানান। এসময় তিনি জাতিসংঘের পরিকল্পনার কথা, রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘ প্রদত্ত মানবিক সহায়তা, এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় হতে প্রাপ্ত সহায়তার কথা সদস্যরাষ্ট্রসমূহকে অবহিত করেন। 

কফি আনানের সাথে বৈঠক
সংসদ সচিবালয় আরও জানায়, ব্রিফিংয়ের পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব ও অ্যাডভাইজরি কমিটি অন রাখাইন স্টেট এর চেয়ারম্যান কফি আনানের সাথে বৈঠক করেন। এ সময় কফি আনান মিয়ানমারের অব্যাহত অনুপ্রবেশের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ এবং রাখাইন প্রদেশের উপদ্রুত এলাকাগুলোতে জাতিসংঘ ও মানবিক সহায়তা সংস্থা এবং গণমাধ্যমের অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার উপর জোর দেন। তিনি মনে করেন এসব পদেক্ষেপের মাধ্যমে রাখাইন প্রদেশে এখন পর্যন্ত অবস্থানরত দুর্গত মানুষের মধ্যে আস্থার মনোভাব তৈরি করা সম্ভব। কফি আনান চলমান পরিস্থিতিতে মানবিক ভূমিকা রাখার জন্য বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তার পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বৈঠককালে স্পিকার একটি সুদূরপ্রসারী ও গঠনমূলক প্রতিবেদন উপস্থাপনের জন্য কফি আনানকে ধন্যবাদ জানান। 

বিডি-প্রতিদিন/১৭ অক্টোবর, ২০১৭/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর