২১ জানুয়ারি, ২০১৮ ২০:৪২

'১৭৮টি নদী খনন করা হবে'

নিজস্ব প্রতিবেদক

'১৭৮টি নদী খনন করা হবে'

ফাইল ছবি

পানি সম্পদমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, অভ্যন্তরীণ নৌপথের দৈর্ঘ্য বর্তমানে বর্ষা মৌসুমে ৬ হাজার কিলোমিটার এবং শুষ্ক মৌসুমে ৪ হাজার কিলোমিটার। অভ্যন্তরীণ নৌপথ বৃদ্ধি করতে সারা দেশের ৫৩টি নৌপথের ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের আওতায় ১২টি নৌপথ খননের কাজ চলছে। দেশের ৪৯১টি নৌ-পথের নাব্যতা পুনরুদ্ধারে ১৭৮টি নদী খনন করা হবে। 

জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে রবিবারের প্রশ্নোত্তর পর্বে অনুপস্থিত নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের পক্ষে পানি সম্পদমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু প্রশ্নের জবাব দেন। 

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রহিম উল্লাহর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, ড্রেজিংয়ের জন্য অর্থের অভাব আছে। আবার অর্থের অভাব নেই। এদিকে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রীর সুদৃষ্টি আছে। 

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সরকার দেশের ৪৯১টি নৌ-পথের নাব্যতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর আওতায়ই ১৭৮টি নদী খনন করা হবে। যার অংশ হিসেবে বর্তমানে অভ্যন্তরীণ নৌ-পথের ৫৩ রুটে ক্যাপিটাল ড্রেজিং (১ম পর্যায় : ২৪ নৌপথ) প্রকল্প এবং ১২টি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথের খনন প্রকল্পের কাজ চলছে। বলেশ্বর-পায়রা নৌপথ এবং পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমার, পূণর্ভবা, তুলাই ও সোয়া নদীর নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনুরুদ্ধার প্রকল্পের সমীক্ষা শেষ হয়েছে। বর্তমানে এটি অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলছে।

সরকারি দলের সদস্য পঙ্কজ কুমার দেবনাথের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের সমস্যা অনেকেই বোঝে না। আমরা যারা ওই এলাকার আছি আমরা বুঝি। নদী ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি আমি নৌমন্ত্রীকে জানাবো।

নাব্যতা সংকট কুয়াশায় ফেরি পারাপার বিঘ্নিত হয়
আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুল আজীম আনারের (ঝিনাইদহ-৪) এর লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আরিচা ও দৌলতদিয়া নৌপথে ১৬টি ফেরি চলাচল করে। এসব ঘাট দিয়ে গড়ে দৈনিক ৪ হাজার ৪শ' গাড়ি পারাপার হচ্ছে। মাঝে মাঝে নব্যতা সংকট, ঘাট বিপর্যয়, কুয়াশা, আটরশি ও চন্দ্রপাড়ার ওরশসহ বিশেষ কারণে যানবাহন সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে পারাপারে বিঘ্নিত সৃষ্টি হয়। কেবলমাত্র কুয়াশা প্রকট আকার ধারণ করলে ফেরি পারাপার প্রলম্বিত হয়। 

দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে ৪টি উদ্ধারকারী জাহাজ রয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) মাধ্যমে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ২টি টাগ কেনার কাজ চলছে। এছাড়া চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমেও আরো উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাগ ক্রয়ের বিষয়টি পক্রিয়াধীন রয়েছে।

বিডি-প্রতিদিন/২১ জানুয়ারি, ২০১৮/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর