২২ জানুয়ারি, ২০১৮ ২১:৫১

ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ও কৃষিবিদদের প্রমোশনে সংসদে আলাদা কমিটি দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ও কৃষিবিদদের প্রমোশনে সংসদে আলাদা কমিটি দাবি

সংগৃহীত ছবি

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী জাতীয় সংসদে বলেছেন, 'একইসঙ্গে বিসিএস দিয়ে সরকারি চাকরিতে ঢুকলেও প্রশসান ক্যাডারের কর্মকর্তারা সচিব হন। কিন্তু তাদেরই বন্ধু যারা মেডিকেল পড়ে ডাক্তার হয়েছেন তারা হয় সিনিয়র মেডিকেল অফিসার।  বড় জোর আরএমও পর্যন্ত যেতে পারছেন।  তারা যোগ্যতা অনুযায়ী সেখানে যেতে পারছেন না।  প্রকৌশলীদের ক্ষেত্রেও একই রকম অবস্থা। তারা এখন কোন কাজের জন্য তাদেরর সম-সাময়িক বন্ধুদের অফিসে এসে জ্বি হুজুর বলে দাঁড়িয়ে থাকেন। এটা হতে পারে না। এটা খুবই দৃষ্টি কটু। '

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে সোমবার ৭১ বিধিতে আনা জরুরি জন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নোটিশে বক্তব্য দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি দেশের বিভিন্ন পেশার যোগ্য কর্মী বিশেষ করে চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, কৃষিবিদদের যোগ্যতা অনুযায়ী  প্রমোশন দেবার জন্য একটি আলাদা কমিটি গঠনের আহবান জানান।

তিনি আরো বলেন, 'এখন শত শত সচিব-সিনিয়র সচিব রয়েছেন, তারা অনেকেই কাজ করেন না, আবার অনেকেই কাজ জানেনও না। সচিবালয়ে নিচের দিকের  কর্মকর্তা কম কিন্তু উপরে বেশী। অনেকে তদবিরের ঠেলায় উপরের দিকে গিয়ে কাজ করেন না অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে।  সে কারণে বর্তমানে প্রশাসন স্থবির হয়ে পড়েছে।  বেতন ভাতা বাড়িয়ে দেবার পরেও তাদের কাজের গতি বাড়েনি। এরা বুয়েট বা মেডিকেলে চান্স না পেয়েও তদবিরের জোরে আজ সচিব। 

এসময় ফরাজী আরো বলেন, প্রকৌশলী, ডাক্তার, কৃষিবিদদের যোগ্যতা অনুযায়ী প্রমোশনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।  তাদেরকেও একটা পর্যায়ে সচিব, সিনিয়র সচিব পর্যায়ে প্রমোশনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। তা না হলে তারা কর্মস্পৃহা হারিয়ে ফেলবে। প্রশাসনে বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে। তারা আজ হতাশ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, বিশেষ করে দেশের এসব মেধাবী সন্তান, প্রকৌশলী, ডাক্তার, কৃষিবিদদের জন্য একটা আলাদা কমিটি করে কিভাবে তাদের যোগ্য প্রমোশন দেয়া যায় তার একটি রুপরেখা তৈরি করা প্রয়োজন। এসব বৈষম্যের একটি অবসান হওয়া প্রয়োজন। এটা কিভাবে করা যায় তার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করেন তিনি। 

এর আগে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে স্বতন্ত্র এই সংসদ সদস্য বলেন, আমরা কোন মন্ত্রীকে কোন কাজের জন্য ডিও লেটার দিলে বা সংসদে কোন মন্ত্রী কোন কাজের প্রতিশ্রুতি দিলে তা এত বিলম্বে পাশ করা হয় যে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কাজ তো মন্ত্রীরা করেন না, করেন তার সচিব বা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। কিন্তু তারা সঠিকভাবে কাজ করতে চান না। দেখা যাবে বহুদিন অতিবাহিত হলেও অনেক ফাইল আছে তাতে কোন কাজই হয় নি।  কিন্তু আগে কর্মকর্তারা ডেডিকেটেট ভাবে কাজ করতেন।

বিডিপ্রতিদিন/ ২২ জানুয়ারি, ২০১৮/ ই জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর