১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০৫

যা থাকছে বিএনপির স্মারকলিপিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

যা থাকছে বিএনপির স্মারকলিপিতে
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আগামীকাল রবিবার সারাদেশে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিবে বিএনপি। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ স্মারকলিপি জমা দেয়া হবে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরিত স্মারকলিপির খসড়া চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। প্রয়োজনে দলের মহাসচিব এ স্মারকলিপি পরিবর্তন করবেন। দলীয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
 
যা আছে বিএনপির স্মারকলিপিতে:
জাল নথির ওপর ভিত্তি করে সাজানো মামলায় প্রতিহিংসামূলক বিচারে বিএনপি চেয়ারপারসন ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দি করা হয়েছে। বানোয়াট মামলায় বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে সাজা প্রদান সম্পূর্ণ রূপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাই তার বিরুদ্ধে ঘোষিত রায়টিও প্রহসনমূলক ও বিস্ময়কর। কারণ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের টাকা তছরুপের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। বেগম জিয়ার কোথাও কোনো স্বাক্ষর নেই। কোথাও তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
 
বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগে থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের ধরপাকড় ও জুলুম অব্যাহত আছে। বিএনপির শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সরকারের আচরণই বলে দেয় তারা তাদের কাঙ্ক্ষিত দূরভিসন্ধিমূলক রায়টি পেয়ে গেছে। কথিত বিচারের নামে সাজা দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো সরকারের হীন সুদূর প্রসারী পরিকল্পনারই অংশ। বহুদলীয় গণতন্ত্রকে চিরদিনের জন্য বিদায় করে আগামী নির্বাচন পুনরায় এতকরফা ভাবে করতে একদলীয় দুঃশাসনকে চিরস্থায়ী করাই এদের মূল লক্ষ্য। এ পরমায়েসী রায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করার এক হিংসাশ্রয়ী পরিকল্পনা।
 
যে নেত্রী গণতন্ত্রের জন্য নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অবিরাম সংগ্রামে অবিচল নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাকে কখনোই তার জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না। দেশে এক দুঃসহ অবস্থা বিরাজ করছে বলেই ন্যায়বিচার, ইনসাফ অদৃশ্য হয়ে গেছে। বেগম জিয়াকে কারাগারে বন্দি করেও তার ওপর চালানো হচ্ছে অমানবিক নির্যাতন। দুই শতাব্দীর প্রাচীণ জনমানবহীন জরাজীর্ণ ও পরিত্যক্ত ভবনে তাকে অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে। তিনি সেখানে কি অবস্থায় আছেন সেটি নিয়েও পরস্পর বিরোধী কথা বলছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও মন্ত্রীরা। এক অমানবিক আদিম নিষ্ঠুরতার শিকার হয়েছেন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী ও তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
 
বেগম জিয়ার উপর সকল প্রকার হয়রানি ও হেনস্থার অবসান ও নিঃশর্ত মুক্তির জন্য প্রহর গুণছে দেশবাসী। আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল.... জেলা/মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি এবং তার ওপর সব ধরনের নির্যাতনমূলক কর্মকাণ্ড থেকে সরকারকে বিরত থাকার জন্য আপনার মাধ্যমে আহ্বান জানাচ্ছি।

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর