১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ২২:০৮

ব্যাংকিং খাতের পাশাপাশি নৈরাজ্য চলছে শিক্ষাতেও: মেনন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ব্যাংকিং খাতের পাশাপাশি নৈরাজ্য চলছে শিক্ষাতেও: মেনন

সংগৃহীত ছবি

ব্যাংকিং খাতের পাশাপাশি শিক্ষা খাতে নৈরাজ্য চলছে উল্লেখ করে সরকারের শরীক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, এসব কারণে জনমনে সরকার সম্পর্কে বিরুপ ধারনার জন্ম হচ্ছে। এটা নির্বাচনের বছর। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি, গ্যাস সংকট, পানি সংকট এসব দৈনন্দিন বিষয় মানুষকে আলোড়িত করে। আতঙ্কিত করে খুন, ধর্ষণ, গুমের ঘটনাবলী। মানুষ বিরক্ত হয় দলবাজী, দখলবাজী, অন্তর্দলীয় কোন্দলে। এক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা না নেয়া গেলে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেবে। এসবের প্রতিবিধানে এখনই পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। 

জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে সোমবারের বৈঠকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। 

আলোচনায় আরো অংশ নেন, পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, নৌ-মন্ত্রী শাজাহান খান, ভ‚মিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, সংসদীয় কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম, জাহিদ আহসান রাসেল প্রমূখ।

এসময় তিনি আরো বলেন, এই সরকার সকল দলের অংশগ্রহণে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন চায়। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করবে। কিন্তু বিএনপি-জামাত জোট তাদের পুরানো গান গেয়েই যাচ্ছে। আসলে নির্বাচন নয়, তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়।  সে কথাই স্পষ্ট হচ্ছে প্রতিদিন।

শিক্ষা খাত ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে ওর্য়াকার্স পার্টির সভাপতি বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে সুবাতাস টেকেনি। এবারের প্রশ্নপত্র ফাঁসের মহামারী কেবল পরীক্ষার্থী নয়, তাদের অভিভাবকদেরও সরকার সম্পর্কে বিরূপ ধারণার জন্ম দিয়েছে। 

মাদ্রাসা শিক্ষার সমালোচনা করে তিনি বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। এমনকি কওমী মাদ্রাসার স্বীকৃতির পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। কিন্তু সেসব প্রতিষ্ঠানে কি শিক্ষা দেয়া হচ্ছে তা কারও বিশেষ অজানা নয়। এমনিতেই এই বহুমুখী শিক্ষা আমাদের সমাজ সংস্কৃতিকে বিভক্ত করছে, তার উপর যা তৈরি করা হচ্ছে তাতে তারা হয় মাদকাসক্ত অথবা জঙ্গিবাদীতে পরিণত হবে। 

ব্যাংকির খাতে দুরবস্থার চিত্র তুলে ধরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার পাশাপাশি ব্যাংকিং খাতের নৈরাজ্য চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। খেলাপী ঋণ বেড়েই চলেছে। সরকারকে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোর মূলধন জোগাতে হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির টাকা ফিরে পাওয়ার কোন সম্ভাবনা আছে কিনা আমি জানি না। প্রতিনিয়ত বিদেশে অর্থ পাচার হচ্ছে। এই পাচারকৃত অর্থে বাংলাদেশের কয়েকটি বাজেট হতে পারে। 

দুর্নীতির জন্য খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড হয়েছে উল্লেখ করে রাশেদ খান মেনন বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট শাসনের সঙ্গে তারেকের দুর্নীতির ক্ষুদ্রাংশ এটি। অনেকে এর পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি খুঁজছে। কিন্তু ১৪ দলের ২৩ দফায় দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল তাই পূরণের সূচনা হল মাত্র। 

তিনি বলেন, কেবল দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলেই জাতীয় প্রবৃদ্ধি আরও ২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।  জনগণ আশা করে দুদক ব্যাংক লুট, জালিয়াতি, অর্থ পাচার এসব ক্ষেত্রে দুর্নীতির তদন্ত করবে, আইনের আওতায় আনবে।  পাকিস্তান যদি পানামা পেপারস-প্যারাডাইস পেপারস নিয়ে তদন্ত করতে পারে, আমরা পারছি না কেন। 

বিডিপ্রতিদিন/ ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/ ই জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর