২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ১১:২১

দুর্নীতি সূচকে দুই ধাপ উন্নতি বাংলাদেশের

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতি সূচকে দুই ধাপ উন্নতি বাংলাদেশের

দুর্নীতি ধারণা সূচকে দুই ধাপ এগিয়ে ১৪৩ অবস্থানে বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে অবস্থান ছিলো ১৪৫। ১৮০টি দেশের মধ্যে ২৮ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ এ অবস্থান নিশ্চিত করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সূচক প্রকাশ করা হয়।

ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ তথ্য উপস্থাপন করেন। সূচকে বিশ্বে শীর্ষে নিউজিল্যান্ড সর্বনিম্ন সোমালিয়া।

২০০১ সালে এ সূচকে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর এবার রেকর্ড পরিমাণ অগ্রগতি। তবে দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন অবস্থানে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পরে রয়েছে আফগানিস্তান। এশিয়া প্যাসিফকের ৩১টি দেশের মধ্যে  চতুর্থ সর্বনিম্ন। ভুটান দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে রয়েছে।৬৯ শতাংশ দেশ ৫০ ভাগের কম স্কোর পেয়েছে।

আন্তর্জাতিক ৮টি সংস্থার তুলনামূলক প্রতিবেদন নিয়ে এ সূচক তৈরি। ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সেবাখাতের ডিজিটালাইজেশনে অনেকটা অগ্রগতি হয়েছে। তবে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, ব্যাংকিং খাতের ঋণ জালিয়াতি, সরকারি ক্রয় নিয়ন্ত্রণে রাজনৈতিক একচ্ছত্র অধিকারের কারণে দুর্নীতির বিষয়ে অগ্রগতি কম। তবে দুর্নীতিতে টানা পাঁচবার সর্বনিম্ন অবস্থানের তুলনায় এ অবস্থান সন্তোষজনক।

তিনি আরও বলেন, দুদকের স্বাধীনতা নিয়ে বিতর্ক আছে। সংকুচিত হচ্ছে গণমাধ্যমের কাজের জায়গা। ৫৭ ধারাকে ঘুরিয়ে ৩২ ধারায় আনলে দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ বাধাগ্রস্ত হবে। বাকস্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা না থাকলে দুর্নীতি রোধ সম্ভব না।

বেগম খালেদা জিয়ার রায় বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, একজন ব্যক্তির বিচার দুর্নীতি প্রতিরোধের মানদণ্ড হতে পারে না। এখনও অনেকেই বিচারের আওতার বাইরে থেকে যাচ্ছে। বিদেশে অর্থ পাচারও দুর্নীতি সূচকে আশানুরূপ অগ্রগতি না হওয়ার অন্যতম কারণ।

 বিডি প্রতিদিন/২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর