২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ১০:১২

খালেদা জিয়ার খালাস চেয়ে যেসব যুক্তি দেখানো হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক

খালেদা জিয়ার খালাস চেয়ে যেসব যুক্তি দেখানো হয়েছে

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর আজ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ দিন ধার্য করে।

হাই কোর্টের এই বেঞ্চে বেলা ২টায় জামিনের আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বেঞ্চের কার্যতালিকায় খালেদা জিয়ার আবেদনটি রাখা হয়েছে। ২২ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে তার আইনজীবীরা আবেদন করেন। ওইদিনই বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসনের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে হাই কোর্ট।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ে ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ দুর্নীতির দায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেয়। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি ছয় আসামির সবাইকে জরিমানা করা হয়। রায়ের পর থেকে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন খালেদা জিয়া। ২০ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্টে আপিল করেন তিনি।

খালেদা জিয়ার খালাস চেয়ে যেসব যুক্তি দেখানো হয়েছে:

খালেদা জিয়ার খালাস চেয়ে ৪৪টি যুক্তি দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি সম্পূরক হিসেবে জামিন চাওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, আবেদনকারীর বয়স ৭৩ বছর। তিনি শারীরিক বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। তিনি ৩০ বছর ধরে গেঁটে বাত, ২০ বছর ধরে ডায়াবেটিস, ১০ বছর ধরে উচ্চ রক্তচাপ ও আয়রন স্বল্পতায় ভুগছেন। ১৯৯৭ সালে তার বাম হাঁটু প্রতিস্থাপন করা হয়েছে এবং ডান পায়ের হাঁটু ২০০২ সালে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। হাঁটু প্রতিস্থাপনের কারণে তার গিঁটে ব্যথা হয়, যা প্রচণ্ড যন্ত্রণাদায়ক।

উপমহাদেশ এবং দেশের উচ্চ আদালতসমূহে দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে, যখন আসামি একজন নারী হয় তখন তার অনুকূলে জামিন বিবেচনা করা হয়ে থাকে। সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে জামিন আবেদন মঞ্জুর করা হোক।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের নির্মূলে যে পদক্ষেপ নিয়েছিল এ মামলাটি তারই অংশ। প্রথম অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা আবেদনকারীর বিরুদ্ধে এ ধরনের মামলার কোনো যোগসূত্র খুঁজে পায়নি।

জামিন আবেদনকারী বাংলাদেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপারসন। বিচারিক আদালত তার এই বিষয়টি উপেক্ষা করেছে। যে মামলায় তাকে সাজা দেয়া হয়েছে তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। 


বিডি প্রতিদিন/২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর