১৮ মার্চ, ২০১৮ ০৯:৪৭

খালেদার জামিন স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল, রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষ

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক

খালেদার জামিন স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল, রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাই কোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা পৃথক দুটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) আবেদনে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষ হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানির পর খালেদার আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী শুরু করেন। এখন বিরতি চলছে। ১১টা ৩০ মিনিটে আবার শুনানি শুরু হবে।

শুনানিকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রধান ফটকসহ আদালত ভবনে প্রবেশের সব ফটকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আইনজীবী ও সাংবাদিকদের কার্ড দেখিয়ে আদালত কক্ষে প্রবেশ করতে হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে আজকের কার্যতালিকার ৯ নম্বরে দুদকের এবং ১০ নম্বরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি শুনানির জন্য রাখা হয়। 

সোমবার হাই কোর্ট থেকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়ার পরের দিন মঙ্গলবারই আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে তা স্থগিত চেয়ে আবেদন করে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ। ওইদিন আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর চেম্বার জজ আদালত আবেদন দুটি পরেরদিন শুনানির জন্য রেখে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয়।

এরপর বুধবার খালেদা জিয়ার জামিন রবিবার পর্যন্ত স্থগিত করে এই সময়ের মধ্যে লিভ টু আপিল আবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, খালেদা জিয়াকে দেওয়া হাই কোর্টের জামিন আপিল বিভাগ ১৮ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত রেখেছে। এখন কোনো কারণে যদি ১৮ মার্চ লিভ টু আপিলের শুনানি না হয় তাহলে কী হবে? সে কারণে স্থগিত আদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি চেয়ে অর্থাৎ লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত চেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় লিভ টু আপিল দায়ের করা হয়েছে। এতে আইনজীবী সুফিয়া খাতুনকে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাঁচ বছর কারাদণ্ড এবং তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমানসহ আরও পাঁচজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান। রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে। এখনো তিনি কারাগারেই রয়েছেন। রায় দেওয়ার ১০ দিন পর রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি পেয়ে হাই কোর্টে আপিল করেন বিএনপি চেয়ারপারসন, সঙ্গে জামিনের আবেদনও জানান।

এরপর ২২ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্ট খালেদা জিয়ার জরিমানা স্থগিত করে বিচারিক আদালতের নথি (এলসিআর) তলব করে। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে এলসিআর আসার পরে আদেশ দেওয়া হবে বলে জানায় হাই কোর্ট। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আবেদনে বিষয়টি রবিবার আদেশের জন্য কার্যতালিকায় রাখা হয়েছিল। তবে ওইদিন বিচারিক আদালতের নথি না আসায় আদেশের জন্য সোমবার দুপুর ২টায় সময় নির্ধারণ করে হাই কোর্ট। সোমবার খালেদা জিয়াকে চার যুক্তিতে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয় হাই কোর্ট।

বিডি প্রতিদিন/১৮ মার্চ, ২০১৮/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর