২০ মার্চ, ২০১৮ ১৪:০৮

বিএনপি বিলীন হয়ে যাবে: খাদ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিএনপি বিলীন হয়ে যাবে: খাদ্যমন্ত্রী

আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেত্রী কারাগারে রয়েছে। এতে সরকার ও আওয়ামী লীগের কোন হাত নেই। খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি পারবে না তা নির্ভর করছে আদালতের ওপর। খালেদা জিয়ার কারণে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে নির্বাচন কারো জন্য বসে থাকবে না। যথা সময়েই নির্বাচন হবে। বিএনপি নির্বাচনে না আসলে ক্রমান্বয়ে বিলীন হয়ে যাবে। কেউ রক্ষা করতে পারবে না। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতারা জনগণকে বিভ্রান্ত করছে, তাদের কর্মীরাও নেতাদের কথা বিশ্বাস করে না। কিছুদিনের মধ্যেই তাদের অন্তীম ঘন্টা বেজে যাবে। 

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা চিত্ত রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। এতে আরো বক্তৃতা করেন সাবেক ছাত্রনেতা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রনি, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, খোকসা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানু রহমান বিটু, রোকন উদ্দিন পাঠান প্রমুখ।
   
কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা বিএনপিকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করছি না। আওয়ামী লীগের এমন কোন পরিকল্পনা নেই। নির্বাচন যথাসময়েই হবে। নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রুটিন ওয়ার্ক কাজ করবেন। সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবেন। বিএনপি নেতাদের বলবো, অহেতুক বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে, বিভ্রান্তি না করে আগামী নির্বাচনে অংশ নিন।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি বিদেশীদের কাছে ধর্না দিচ্ছেন সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে। তারা প্রভু খুজে বেরাচ্ছেন। বিদেশে আওয়ামী লীগের প্রভু নেই, বন্ধু আছে। বিএনপির জনগণের প্রতি আস্থা নেই। ভোটারদের কাছে আস্থা নেই। বিদেশী প্রভু খুঁজে বেড়ায়। যারা আগুন সন্ত্রাস করে, রাজাকারদের বন্ধু তাদেরকে আর দেশের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আমরা এখন উন্নয়শীল দেশে এসেছি। এটা ধরে রাখতে হবে। আমরা ক্ষমতায় আসতে না পারলে পিছনে নিয়ে যাবে। এটা দেশের মানুষকে বুঝতে হবে। খালেদা জিয়ার কারাগারে থাকার বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কোন প্রতিক্রিয়া নেই। বিএনপির মধ্যে কিছু প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
 
বক্তারা প্রয়াত জিল্লুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, প্রয়াত জিল্লুর রহমান দুর্দিনে শুধু আওয়ামী লীগের হালই ধরেননি, তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আপনজন। তিনি জাতির জনকের সঙ্গে এবং তারকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১/১১ সময়ের আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করে দলকে ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তিনি শুধু দলকেই ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করেননি, গাউন পরে জাতির জনকের কন্যাকে জেল থেকে বের করতে আইনী লড়াইও করেছেন। তিনি সারাজীবন নীতি ও আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করেছেন। সৎ ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন বলেই জননেতা হয়েছেন। তিনি ছিলেন সাদামাঠা জীবনের অধিকারী। নীতির প্রশ্নে আপোষহীন। 

বিডিপ্রতিদিন/ ২০ মার্চ, ২০১৮/ ই জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর