লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সেই দেশের আইন অনুযায়ী পাসপোর্ট জমা দিয়ে ট্রাভেল পারমিট নিয়েছেন বলে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তবে সামাজিক মাধ্যম ও গণমাধ্যমে তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করেছেন মর্মে সরকারের লোকদের পক্ষ থেকে যে প্রচার চালানো হচ্ছে তা রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক।
মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১ টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সরকার ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালাচ্ছে দাবি করে ফখরুল বলেন, সরকারের লোকজনের এসব বক্তব্য-বিবৃতির কারণে তারেক রহমানের জীবন এখন নিরাপত্তাহীনতায় আছে।
তারেক রহমানে জন্মসূত্রে বাংলাদেশি নাগরিক জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, তারেক রহমানের নাগরিকত্ব বিষয়ে বর্তমান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম যে অদ্ভুত, যুক্তিহীন ও বেআইনি মন্তব্য করেছেন- আমরা (বিএনপি) তার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, সরকার ও সরকারি দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বক্তৃতা-বিবৃতিতে এটা স্পষ্ট যে, দেশে তারেক রহমানের জীবন নিরাপদ নয়। এমতাবস্থায় তারেক রহমান বিশ্বের অসংখ্য বরেণ্য রাজনীতিবিদ, সরকার বিরোধী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মতোই সাময়িকভাবে বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন এবং সঙ্গত কারণেই তা পেয়েছেন। এই প্রক্রিয়ার স্বাভাবিক অংশ হিসেবেই তিনি যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র বিভাগে তার পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন। সে দেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার পাসপোর্ট জমা রেখে তাকে ট্রাভেল পারমিট দেয়া হয়েছে।
এর আগে, সোমবার সন্ধ্যায় গুলশানে সংবাদ সম্মেলন করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্ত্রী-কন্যাসহ তার নিজের পাসপোর্ট যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমর্পণ করেছেন। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেগুলো লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনে পাঠিয়েছে।
তিনি জানান, মেয়াদোত্তীর্ণ ওই পাসপোর্টগুলো এখন ঢাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আছে। বর্তমানে তারেক রহমানের কাছে পাসপোর্ট নেই।
বিডি প্রতিদিন/২৪ এপ্রিল ২০১৮/এনায়েত করিম