২৪ এপ্রিল, ২০১৮ ১৯:২২

রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা পেলেন ২৬১.৮৮ কোটি টাকা

অনলাইন ডেস্ক

রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা পেলেন ২৬১.৮৮ কোটি টাকা

ফাইল ছবি

স্মরণকালের ভয়াবহ রানা প্লাজা ধসের পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে মঙ্গলবার। ওই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬ হাজার ৩২৫ জনকে ২৬১ কোটি টাকা ৮৮ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

মন্ত্রণালয় জানায়, এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ২৩ কোটি ৪৮ লাখ ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও এবং ট্রাস্ট ফান্ড প্রাইমার্ক থেকে প্রায় ২৪৮ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। খবর- বাসস'র। 

এ ব্যাপারে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খোন্দকার মোস্তান হোসেন জানান, সরকার রানা প্লাজায় নিহত ও আহতসহ ক্ষতিগ্রস্ত সকল পরিবার ও পরিজনদের ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি দীর্ঘ মেয়াদী বিভিন্ন সহায়তা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল, শ্রম মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও ট্রাস্ট ফান্ড, বিদেশি ক্রেতা সংস্থা প্রাইমার্কসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এই আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

তিনি বলেন, বর্তমানে সরকার পোশাক কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে এবং পোশাক কারখানার আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তায় বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ বিলসের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দীন আহমদ বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ৬৩২৫ জনকে ৩৪ দশমিক ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিতরণ করা হয়েছে। 

রানা প্লাজার ধ্বংসস্তুপ থেকে ১ হাজার ১৩৫ জন শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল ২ হাজার ৪৩২ জনকে। আহতদের অনেকেই পঙ্গু হয়ে গেছেন। অনেকে আবার মানসিক রোগীতে পরিণত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে একটি ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তের মধ্যে ৪৩৫ জনকে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ১৩৫ জনকে স্বাবলম্বী করতে প্রত্যেককে ৪০ হাজার টাকা করে পুঁজি দেয়া হয়েছে। আরও ১৪৫ জনকে দ্বিতীয় মেয়াদে ৫০ হাজার টাকা করে পুঁজি দেয়া হয়েছে। 

 সৈয়দ সুলতান উদ্দীন আহমদ আরও বলেন ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধসে মারা যান ১ হাজার ১৩৬ জন। আর গুরুতর আহত হন আরও অন্তত ১ হাজার শ্রমিক। ওই ভবনের ৫টি কারখানায় কাজ করতেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক।

সরকার শ্রম আইন সংশোধনের মাধ্যমে শ্রমিকদের কল্যাণ ও নিরপত্তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব আমিনুল ইসলাম।

বিডি প্রতিদিন/২৪ এপ্রিল ২০১৮/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর