২৪ মে, ২০১৮ ২২:১৩

'মাথার উকুন পরীক্ষা করে ফেলে দেওয়ার দায়িত্ব কারা কর্তৃপক্ষের নয়'

অনলাইন ডেস্ক

'মাথার উকুন পরীক্ষা করে ফেলে দেওয়ার দায়িত্ব কারা কর্তৃপক্ষের নয়'

ফাইল ছবি

কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পোকামাকড়ে কামড়াচ্ছে- বিএনপির এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ হাজির করলেন উকুন তত্ত্ব।

তিনি বলেন, কারাগারে খালেদা জিয়াকে অত্যন্ত পরিপাটি একটি রুমে রাখা হয়েছে। সেখানে পোকামাকড় কামড়ানোর প্রশ্নই আসে না। এখন কারো মাথায় উকুন হলে সেটা যদি বিএনপি পোকামাকড় বলে? তাহলে আমাদের করার কিছু নেই। কারো মাথার উকুন পরীক্ষা করে ফেলে দেয়ার দায়িত্ব নিশ্চয়ই কারা কর্তৃপক্ষ বা ডাক্তারের নয়।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ের পার্শ্ববর্তী নির্বাচনী অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বুধবার ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির রুহুল কবির রিজভী বলেন, কারাগারে অসংখ্য পোকামাকড়ে আকীর্ণ কক্ষটিতে খালেদা জিয়া নরকবাস করছেন। পোকামাকড়ের দংশনে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। 

হাছান মাহমুদ তার জবাবে বলেন, খালেদা জিয়া একজন প্রথম শ্রেণির বন্দি হিসেবে যে সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন বাংলাদেশের ইতিহাসের আর কেউ পাই নাই। 

তিনি অত্যন্ত পরিপাটি একটি রুমে থাকেন। একজন মহিলা নার্স সার্বক্ষণিক আছেন। প্রতিদিন সকাল-বিকাল একজন চিকিৎসক তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। সেখানে পোকামাকড়ের তো প্রশ্নই আসে না। সেই রুম সব সময় পরিপাটি করে রাখা হয়। এখন কারো মাথায় উকুন হলে সেটা যদি বিএনপি পোকামাকড় বলে? তাহলে আমাদের করার কিছু নেই। কারো মাথার উকুন পরীক্ষা করে ফেলে দেওয়ার দায়িত্ব নিশ্চয়ই কারা কর্তৃপক্ষ বা ডাক্তারের নয়।

হাছান মাহমুদ বলেন, রিজভী আহমেদ সেটিই বুঝাতে চেয়েছেন কি না, জানি না? খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকও কিছুদিন পরপর তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। কিন্তু রিজভী আহমেদ যেসব অভিযোগ উত্থাপন করেছেন, তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকও সেসব অভিযোগ উপস্থাপন করে নেই।

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, যে সংগঠনটি (বিএনপি) আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সেই সংগঠনটি সকাল-বিকাল মিথ্যা অভিযোগ তুলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সংসদ সদস্যদের প্রচারণার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, এই আচরণবিধিটা বৈষম্যমূলক ছিল। আচরণবিধি সংশোধনের ফলে এখন সেই বৈষম্যটা কিছুটা কাটবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপদফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ।

বিডি প্রতিদিন/২৪ মে ২০১৮/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর