২১ জুন, ২০১৮ ২১:২২

'ডিসেম্বরেই শতভাগ গ্রামে বিদ্যুৎ যাবে'

নিজস্ব প্রতিবেদক

'ডিসেম্বরেই শতভাগ গ্রামে বিদ্যুৎ যাবে'

ফাইল ছবি

বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দেশে বিদ্যুতের উৎপাদন ইতোমধ্যে ১৮ হাজার ৩৫৩ মেগাওয়াট (ক্যাপটিভসহ) উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতাধীন এলাকায় ইতোমধ্যে ৯০ শতাংশ গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছানো হয়েছে। অবশিষ্ট ১০ শতাংশ গ্রামে বিদ্যুতায়ন কাজ চলমান আছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শতভাগ গ্রামে বিদ্যুৎতায়ন সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।

সংসদের চলমান বাজেট অধিবেশনে বৃহস্পতিবারে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের (সুনামগঞ্জ-৫) লিখিত প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ এ তথ্য জানান। 

এছাড়া সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের (নোয়াখালী-৩) লিখিত প্রশ্নের জবাবে  প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, দেশে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা বেশী থাকায় এখন সাধারণত বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকে না। তবে গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এয়ারকন্ডিশনার ও ফ্যান লোড বেড়ে গেছে। ফলে সঞ্চালন ও বিতরণ নেটওয়ার্কের সীমাবদ্ধতা ও গ্যাস সরবরাহের অপ্রতুলতা এবং রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে। এই অবস্থায় বিশ্বকাপ ফুটবল চলাকালে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সামগ্রিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা মনিটারিং করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি এ সময়ে বিদ্যুৎ যাবে না। 

বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানির সীমাবদ্ধতা রয়েছে: 

ওয়ার্কার্স পার্টির সংসদ সদস্য হাজেরা খাতুনের লিখিত প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রাথমিক জ্বালানির সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ফলে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জ্বালানি বহুমূখীকরণ (দেশীয় ও আমদানিকৃত কয়লা, গ্যাস ও এলএনজি, তরল জ্বালানি) ও বিদ্যুৎ আমদানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। 

মসজিদসমূহে ১০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিল সরকারের : 

আওয়ামী লীগের সদস্য মিজানুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, নিয়মিত আয়ের উৎসবিহীন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তালিকাভ‚ক্ত মসজিদসমূহে মাসিক ১০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল সরকার পরিশোধ করে। তবে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল মসজিদসমূহে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের কোন ব্যবস্থা আপাততঃ নেই। 

আওয়ামী লীগের এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে আমদানিকৃত অপরিশোধিত ও পরিশোধিত জ্বালানী তেল খালাস কার্যক্রম আরো সহজ, দ্রুত, সুষ্ঠু ও ব্যয় সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে কক্সবাজারের মহেশখালীতে ভাসমান জেটি হিসেবে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) স্থাপনে চীনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ২০২১ সালের জুন মাসের মধ্যে এসপিএম বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।

বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর