২৪ জুন, ২০১৮ ১৫:০২
সিপিডির সংলাপে পরিকল্পনামন্ত্রী

'ব্যাংক লুটেরাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে'

নিজস্ব প্রতিবেদক

'ব্যাংক লুটেরাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে'

প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ বাজেট নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেছেন, 'ব্যাংক লুটেরাদের যে কোনো মূল্যে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। যারা ভাল কাজ করছেন তাদের উৎসাহিত করা হবে। যারা মন্দ কাজ করছেন তাদের তিরস্কার করা হবে।'

রবিবার রাজধানী ঢাকার লেকশোর হোটেলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) এক সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

সংলাপে সিপিডির চেয়ারম্যার রেহমান সোবহান বলেছেন আর্থিক খাতের সংস্কার এখন অত্যন্ত জরুরি। 

সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহি পরিচালক ড, ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, কর কাঠামোতে নতুন বিন্যাস না হলে মধ্যবিত্তের চাপ বাড়বে। বাধাগ্রস্ত হবে দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকান্ড। শুধু করের চাপই নয় মূল্যস্ফীতির চাপও বাড়ছে, যা নিম্নবিত্তকে আরও সংকটে ফেলবে। যাতে সংকটে নষ্ট হবে অর্থনীতি'র ভারসাম্য।

এতে আরো বলা হয়, ব্যাংক খাতে কর্পোরেট কর কমানোর ফলে কর আদায় কমবে। কিন্তু এর সুফল নিশ্চিত করা সম্ভ হবে না। ব্যক্তি কর আয়সীমা পরিবর্তন দরকার বলে মনে করে সিপিডি। 

প্রবন্ধে বলা হয়, চলাচলের বাহন উবার, পাঠাও'র ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট নিম্ন এবং মধ্যবিত্তকে চাপে ফেলবে। এছাড়া ছোট ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে ২ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করাতে চাপ বাড়বে। উৎপাদন এবং ফার্নিচার ব্যবসায় করারোপ করা হয়েছে যা চাপ তৈরি করবে। এছাড়া গুড়ো দুধ আমদানিতে কর ছাড় এবং তামাক রফতানিতে সুবিধা দেয়ার ফলে সংকট তৈরি করবে। দেশীয় উৎপাদিত পোশাকের উপর শুল্ক বৃদ্ধি বিদেশি কাপড় আমদানিকে উৎসাহিত করবে বলে মনে করছে এই গবেষণা সংস্থা। কর কাঠামোর বিন্যাসে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তথ্য প্রযুক্তিখাতও।

বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর