শিশু অপরাধীদের জামিন না মঞ্জুর হলে তাদের জেলখানায় না পাঠিয়ে সরকার প্রত্যায়িত কোন প্রতিষ্ঠানে প্রেরণের বিধান রেখে ‘শিশু আইন (সংশোধন) ২০১৮’ বিল সংসদে উত্থাপিত হয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশনের আজকের বৈঠকে বিলটি উত্থাপন করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।
প্রস্তাবিত শিশু আইনের বিলে বিদ্যমান আইনের ১৫ ধারা সংশোধন করে বলা হয়, যে কোন অপরাধ সংঘটনে বড়দের সাথে কোন শিশু জড়িত থাকলে সে অপরাধ আমলে নেওয়া ও তদন্তের ক্ষেত্রে শিশুর বিষয়টি পৃথকভাবে উল্লেখ করে দাখিল করতে হবে। জি আর মামলা বা সিআর মামলা উভয় ক্ষেত্রে এই বিধান প্রযোজ্য হবে। এতে আরো বলা হয়, প্রাপ্ত বয়ষ্কদের অপরাধ বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ একটি মামলা যাবে এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতে। পাশাপাশি একই মামলায় জড়িত হলেও শিশুর অপরাধ বিচারের জন্য যাবে শিশু আদালতে।বিলে বিদ্যমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের অধীনে গঠিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালকে শিশু আদালত হিসেবে গণ্য করার বিধান রাখা হয়েছে। তবে যেখানে অনরূপ আদালত নেই সেখানে উক্ত জেলার জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও জেলা দায়রা জজ স্বীয় অধিক্ষেত্রের শিশু আদালত হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া আইনের বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে শিশু আদালতের বিচারক বিচারের দিন ক্ষণ স্থান নির্ধারণ করে বিচার আরম্ভ ও শেষ করবেন। এছাড়া সংশোধিত আইন বিদ্যমান শিশু আদালত শব্দগুলোর পরিবর্তে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা শিশু আদালত বা অন্য কোন আদলত শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়, শিশুদের কল্যাণ সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চত করতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘শিশু আইন, ১৯৭৪ প্রণয়ন করেন। পরবর্তীতে জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ বাস্ত বায়নের লক্ষ্যে ২০১৩ সালে শিশু আইন যুগোপযোগী করা হয়। কিন্তু শিশু আইন ২০১৩ কার্যকর হওয়ার পর কিছু প্রায়োগিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় আইনর কতিপয় ধারা সংশোধন করে ‘শিশু আইন (সংশোধন) ২০১৮’ প্রণীত হয়।
বিডি প্রতিদিন/২৬ জুন ২০১৮/হিমেল