২৬ জুন, ২০১৮ ২১:১৫

'মাদক বিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২০৭৬৭'

নিজস্ব প্রতিবেদক

'মাদক বিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২০৭৬৭'

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে চলতি মে ও জুন মাসে ১৫ হাজার ৩৩৩টি মামলায় ২০ হাজার ৭৬৭ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় ২৬ লাখ ৫৯ হাজার ৮০৭ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ১ হাজার ২৮৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বাজেট অধিবেশনে মঙ্গলবার টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের (নেত্রকোণা-৫) লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে জানান, এ বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৩৪০টি মামলায় ৩৫ হাজার ১১২ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৩ কোটি ২৮ লাখ ২৫ হাজার ৬১১ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। 

তিনি আরও জানান, ভারত ও মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় উভয় দেশের সহযোগিতায় তাৎক্ষণিকভাবে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনার জন্য বর্ডার লিয়াঁজো অফিস স্থাপনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। 

নতুন আসা রোহিঙ্গারা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে : 
সরকারি দলের এম আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে মাদক ও অস্ত্রমুক্ত রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার কঠোর নজরদারির পাশাপাশি বিভিন্ন সচেতনতামূলক পদক্ষেপ প্রহণ করা হয়েছে। তবে স্বল্প জায়গায় বেশি সংখ্যক লোকের বসবাসের কারণে রোহিঙ্গারা মাদকসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়ছে। আগে থেকে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সহায়তাও নতুন করে আসা রোহিঙ্গারা এসব অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। 

মাদক নিয়ন্ত্রণে ডিটেক্টিং ডিভাইজ ও মোবাইল ট্র্যাকার :  
একই প্রশ্নকর্তার অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দেশব্যাপী ইয়াবা ব্যবসায়ীদের তালিকা হালনাগাদ করে সর্বাত্মক নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। মাদকের গডফাদার ও পৃষ্ঠপোষকদের আইনের আওতায় আনতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এ খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। 

তিনি আরও জানান, ডিটেক্টিং ডিভাইজ না থাকায় মাদক জব্দে কাঙ্খিত সাফল্য পাওয়া যাচ্ছে না। মাদকদ্রব্য অধিদফতরের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিটি অফিসে একটি করে ডিটেক্টিং ডিভাইজ ও মোবাইল ট্র্যাকার কেনা হচ্ছে। এছাড়া মিয়ানমারকে ইয়াবার উৎপাদন ও প্রবাহ বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি ইয়াবা পাচার রোধকল্পে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

ভারতের সাথে ৫টি ফলপ্রসু দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি বৈঠকে মিয়ানমার ও ভারতে অবস্থিত মাদক ব্যবসায়ীদের এবং মাদক তৈরির গোপন কারখানার তালিকা উভয় দেশের প্রতিনিধিদের কাছে দিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার অনুরোধ জানান হয়েছে। 

এসময় তিনি জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে শক্তিশালী ও ঢেলে সাজানোর জন্য অধিদফতরের জনবল ১ হাজার ৭০৬ জন থেকে ৮ হাজার ৫০৫ জনে উন্নীত করা হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর