৮ জুলাই, ২০১৮ ১৯:৪৫

'এগারো সিটিতে বকেয়া গৃহকর ৭২৯ কোটি টাকা'

নিজস্ব প্রতিবেদক

'এগারো সিটিতে বকেয়া গৃহকর ৭২৯ কোটি টাকা'

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন ১১ সিটি করপোরেশনের কাছে সরকারের বকেয়া গৃহকরের পরিমাণ ৭২৯ কোটি টাকার বেশি। বকেয়ার দিক থেকে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বকেয়া রয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে। 

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ২১তম অধিবেশনে রবিবারের বৈঠকে সরকারি দলের সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহর লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান। 

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ১১টি সিটি করপোরেশন রয়েছে। এসব সিটির অধীন অসংখ্য আবাসিক ভবন রয়েছে। সেগুলো থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করে থাকে সিটি করপোরেশন। কিন্তু হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের খুব বেশি সাফল্য নেই নগর কর্তৃপক্ষের। 

মন্ত্রীর তথ্যানুযায়ী, ঢাকা দক্ষিণ সিটির বকেয়া গৃহকরের পরিমাণ ৯৭ কোটি টাকা। ঢাকা উত্তর সিটিতে বকেয়ার হার ২৪০ কোটি ৭২ লাখ ৪১ হাজার ৮৬১ টাকা। একইভাবে, চট্টগ্রাম সিটিতে ২০৩ কোটি কোটি ৫৪ লাখ ২৫ হাজার ৪২৩ টাকা, রাজশাহীতে ৮ কোটি ৭৯ লাখ ৪৫ হাজার ৯৭৬ টাকা, খুলনায় ৬৬ কোটি ৮৫ লাখ ৯ হাজার ৪৫০ টাকা, সিলেটে ৩২ কোটি ৬১ লাখ ২১ হাজার ৮২৭ টাকা, বরিশালে ৯ কোটি ২৬ লাখ ৩৩ হাজার ৭৬১ টাকা, নারায়নগঞ্জে ২০ কোটি ৭৯ লাখ ৩ হাজার ২৩০ টাকা, কুমিল্লায় ৯৭ লাখ ৯১ হাজার ৭১১ টাকা, রংপুরে ১০ কোটি ৫১ লাখ ৮২ হাজার ১৫০ টাকা এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ৩৭ কোটি ৬৮ লাখ ৬৫ হাজার ৯৫৭ টাকা। ১১ সিটিতে মোট বকেয়া গৃহ করের পরিমাণ ৭২৯ কোটি টাকার বেশি। 

মন্ত্রী আরও বলেন, বকেয়া কর আদায়ের জন্য নগর কর্তৃপক্ষ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে অর্থবছরের শুরুতে প্রতিটি গৃহে বিলবহি প্রেরণ করা হয়েছে। অতঃপর নোর্টিশ, তাগিদ নোর্টিশ প্রেরণসহ মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট খেলাপী করদাতাগণের সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। গৃহ মালিকদের সচেতন করার জন্য মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।  

এছাড়া বড় ঋণখেলাপীদের বিরুদ্ধে বিশেষ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। তাছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর লক্ষ্যে গৃহকর বাবদ বকেয়া আদায়ে কঠোর মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী। 

সব উপজেলা এখনো শতভাগ স্যানিটেশনের আওতায় আসেনি : 
মো. আবদুল মুতিনের লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে কোনো থানা-উপজেলা এখনো শতভাগ স্যানিটেশন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়নি। শতভাগ স্যানিটেশন সম্পন্ন না হওয়া এসব থানা-উপজেলায় জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকার নানামুখি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। 

মন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে দেশে ল্যাট্টিন ব্যবহারকারী পরিবারের সংখ্যা ৯৯ শতাংশ; যার মধ্যে ৬১ শতাংশ মানুষ উন্নত ল্যাট্টিন, ২৮ শতাংশ মানুষ যৌথ ল্যাট্টিন এবং ১০ শতাংশ মানুষ এখনো অনুন্নত ল্যাট্টিন ব্যবহার করেন। 

ঢাকায় ৩০ জন নগরবিদের বিপরীতে আছেন ২ জন : 
সামশুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, আয়তন ও জনসংখ্যা ঘনত্বের বিবেচনায় রাজধানী ঢাকায় নগর পরিকল্পনারবিদের চাহিদা রয়েছে ৩০ জন। কিন্তু এই চাহিদার বিপরীতে কর্মরত আছেন ২ জন; যার মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটিতে একজন এবং দক্ষিণ সিটিতে একজনসহ মোট দুইজন। 

মন্ত্রী আরও বলেন, আয়তন ও জনসংখ্যা ঘনত্বের চাহিদা বিবেচনায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক নগর পরিকল্পনাবিদের পদ সৃজনের জন্য ইতিমধ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। 

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর