১৮ জুলাই, ২০১৮ ১৯:০০

'মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে অঙ্গীকারাবদ্ধ বাংলাদেশ'

নিজস্ব প্রতিবেদক

'মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে অঙ্গীকারাবদ্ধ বাংলাদেশ'

বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চেয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সকল ধরনের অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্যহীন বিশ্ব গড়তে বাংলাদেশ দৃঢ় প্রত্যয়ী। বাংলাদেশ সকল প্রকার বিচারহীনতা, যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অঙ্গীকারাবদ্ধ। অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শান্তি নিশ্চিত করতে বিশ্ববাসীর সাথে বাংলাদেশও সহযাত্রী।

নেদারল্যান্ডের হেগে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট (আইসিসি) আয়োজিত ‘এনডিউরিং ভেল্যু অব দ্যা রোম স্ট্যাটিউট টু হিউম্যানি’ শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে আজ ভাষণদানকালে তিনি এসব কথা বলেন। 

সিম্পোজিয়ামে সভাপতিত্ব করেন, রোম সনদ -এর প্রেসিডেন্ট ও-গোঁ কোয়ান। আরো বক্তব্য দেন, আইসিসির প্রেসিডেন্ট চিলি ইবো ও’সুজি এবং আইসিসির সিনিয়র প্রসিকিউটর ফাতো বেনসৌদা। 

আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত কর্তৃক ফৌজদারি আদালতের বিচার কাজে রোম সনদ কার্যকরার ২০তম বার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচিতে যোগ দিতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নেদারল্যান্ড সফরে রয়েছেন।

জাতীয় সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, সেম্পোজিয়ামে স্পিকার বলেন, এই  সিম্পোজিয়াম কেবলই উৎসব নয়, বরং মানবতা লংঘনীয় অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফরম। বাংলাদেশ সার্বজনীন রোম সনদের গুরুত্বকে স্বীকার করে। আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত সৃষ্টিতে এবং রোম সনদ গ্রহণের সূচনা লগ্নে প্রচার-প্রচারণায় বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে, এজন্য বাংলাদেশ আজ গর্বিত। আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের সকল লক্ষ্য অর্জনে অব্যাহতভাবে সমর্থন করে যাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এসময় বলেন, বলেন, সম্প্রতি মিয়ানমার কর্তৃক একটি সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে দেয়ার মত হৃদয়বিদারক ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে বিশ্ববাসী। গত বছরের ২৫ আগস্টের পর থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে- যার বেশির ভাগই শিশু ও নারী। জাতিসংঘ ও জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন এ ঘটনাটিকে জাতিগত নিধন ও গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। এখন বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনে প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত ও কার্যকর ভূমিকা। এসময় সকলের আন্তরিক ও কার্যকর ভূমিকা কামনা করেন তিনি।

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর