বাংলাদেশের প্রথম মিশন কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসানের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধুর পাঠস্থান প্রতিষ্ঠান মৌলানা আজাদ কলেজ (পূর্বতন ইসলামিয়া কলেজ)-এর রেজা আলি ওয়াশাথ হলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালযের উপাচার্য প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সম্মাননা প্রাপ্ত ও ভারতের দুরদর্শনের সাবেক কর্মকর্তা পঙ্কজ সাহা এবং মৌলানা আজাদ কলেজ পশ্চিমবঙ্গের অধ্যক্ষ ডা. সুভাশিষ দত্ত আলোচনার অংশগ্রহণ করেন।
প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীরা বাংলার কথা বললেও তারা ছিল যুগে যুগে বাঙালিত্বে বিরোধীতা করা ধর্মাশয়ী প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী, যারা বাংলাদেশে জন্মগ্রহণণ করেও বাংলা ভাষা, বাঙালির স্বায়ত্বশাসন ও সর্বোপরি স্বাধীকার আন্দোলনের বিরোধীতা করেছিল। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে বংলাদেশকে আবার পূর্বপাকিস্তানে রূপান্তর করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা জয় বাংলার বদলে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ প্রতিঠা করেছিল। তারাই ‘পহেলা পাকিস্তান হামারা, খদমে পাকিস্তান’ এর বদলে প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলারদেশ কায়েম করেছিল। আজ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে অনেক পথ এগিয়েছে যা বিশ্ববাসীর কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে বিবেচিত।
ড. সুভাশিষ দত্ত তার বক্তব্যে বলেন ‘আমি অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে কলেজে পড়েছিলেন ও নেতৃত্ব দেয়ার দক্ষতা অর্জন করেছিলেন, আমি এখন সেই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ। বাঙালিত্বেও যে তত্ত্ব বঙ্গবন্ধু সূচনা করেছিলেন সেই আদর্শের কারণেই আজ বিশ্বে প্রকৃত বাঙালিত্বের অস্তিত্ব রয়েছে।’
এদিনের অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘চিরঞ্জিব বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। হল ভর্তি দর্শক তথ্যচিত্রটি দেখে আবেগময় হয়ে পড়েন।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন