১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ২১:৩০

সংসদে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিলসহ দুই বিল পাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

সংসদে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিলসহ দুই বিল পাস

সংগৃহীত ছবি

‘হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিল’ ও ‘জাতীয় প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি বিল দুটি পাস করেছে সংসদ।

ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদের ২২তম অধিবেশনের সোমবারের বৈঠকে সংসদীয় কমিটির  স্থিরকৃত আকারে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিল ২০১৮ ও ‘জাতীয় প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি বিল পাস হয়। এরআগের বিলের ওপর আনীত সংশোধনী, জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রস্তাব কন্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। 

হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিল প্রাস করার প্রস্তাব করেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। বিলে দেবোত্তর সম্পত্তি উদ্ধার ও সংরক্ষণসহ হিন্দু ধর্মীয় প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, ধর্মীয় শাস্ত্র ও সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার, তীর্থস্থান ভ্রমণে সহায়তার বিধান রাখা হয়েছে। 

বিলে বলা হয়, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালনার জন্য একটি ট্রাস্ট্র বোর্ড থাকবে। সরকার মনোনিত ২১সদস্যদের নিয়ে এই ট্রাস্টি বোর্ড গঠিত হবে। ধর্মমন্ত্রী ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ও সরকার মনোনীত একজন ট্রাষ্টি ভাইস চেয়ারম্যান ও ধর্ম সচিব ট্রাস্টের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। 

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১১ সালে আদালতের নিদের্শে ‘দ্যা হিন্দু রিলিজিয়ার্স ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৩’ আইনটি রহিত হয়ে যায়। ফলে ২০১৩ সালের জারিকৃত ৭ নং আইন দ্বারা উক্ত আইন কার্যকর রাখা হয়। বিদ্যমান আইনটি সংশোধিত পরিমার্জিত আকারে বাংলা ভাষায় হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিল ২০১৮ আনা হয়েছে। বিলের সাথে আর্থিক ব্যয়ের বিষয় জড়িত থাকায় বিধি মোতাবেক রাষ্ট্রপতির সুপারিশ পাওয়া গেছে।

জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি বিল 

অধ্যাদেশ বলে পরিচালিত ‘জাতীয় প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি’কে আইনী ভিত্তি দিতে সংসদে নতুন বিলটি সংসদেও স্থিরকৃত আকারে পাস হয়েছে। বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এরআগে বিলের ওপর আনীত বছাই কমিটিতে প্রেরণ, জনমত যাচাই ও সংশোধনীসমুহ কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। 

বিলে বলা হয়েছে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে গভর্মেন্ট এডুকেশনাল এন্ড ট্রেনিং ইস্টিটিউশনস অর্ডিন্যান্স ১৯৬১-এর অধীন পিরচালিত জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির কার্যক্রম এমনভাবে অব্যাহত থাকবে যেন তা এই আইনের অধীনে প্রতিষ্ঠিত। ১৯৭৯ সালের প্রণীত অধ্যাদেশটি সামরিক শাসনামলে প্রণীত বলে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক নতুন আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে সংসদে বিলটি আনা হয়।

বিলের উদ্দেশ্য কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কর্মকান্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারী, আধাসরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তাদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৮০ সালের নভেম্বরে জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির যাত্রা শুরু হয়। ১৯৮৪ সালে এই একাডেমি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত হয়। বর্তমানে বিলে উক্ত একাডেমি পরিচালনা ও প্রশাসনের দায়িত্ব পালনের জন্য একটি পরিচালনা বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। ১৫ সদস্যের এই বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকবেন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী। একাডেমির মহাপরিচালক সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর