২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ২১:৫৭

দেশে প্রতিবছর ক্যান্সারে মারা যাচ্ছে এক লাখ মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে প্রতিবছর ক্যান্সারে মারা যাচ্ছে এক লাখ মানুষ

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, দেশে প্রতি বছর তিন লাখেরও বেশি মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে এবং প্রায় এক লাখ রোগী মারা যাচ্ছে। তামাক, নানা দুষণ, অনিরাপদ খাদ্যাভাসের কারণে এ ধরণের রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। তবে সরকার ক্যান্সার চিকিৎসার ঔষধ (কেমোথেরাপী) উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিনামূল্যে রোগীদের দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে বিশেষ অনুদান দেওয়া হচ্ছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ২২তম অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সদস্য এম আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী আরো জানান, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য অত্যাধুনিক রেডিওথেরাপি চিকিৎসার আধুনিক নতুন মেশিন ইতোমধ্যেই সংযোজন করা হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে মহিলাদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য কয়েকটি ব্রাকিথেরাপি মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ক্যান্সার চিকিৎসা আরো আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের জন্য সরকারের ব্যাপক পরিকল্পনা রয়েছে। ক্যান্সার রোগ চিকিৎসার পরিধি বৃদ্ধি, সহজলভ্য করা ও মনোন্নয়নে সরকার ইতোমধ্যেই বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার নতুন ফি’র প্রজ্ঞাপন হয়েছে
নিজাম উদ্দিন হাজারির (ফেনী-২) এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিয়ন্ত্রণ ও ফি নির্ধারনের ১৯৮২ সালের অধ্যাদেশ কার্যকর আছে। তবে ইতোমধ্যে নতুন ফি নির্ধারনপূর্বক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। যার মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আয় বহুগুন বৃদ্ধি পাবে। উক্ত আদেশটিকে আরো যুগপোযোগীকরণ/ সংশোধনের প্রক্রিয়া বা আইন প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান আছে।
ঔষধ আইনকে আরো যুগোপযোগি করা হচ্ছে
এহিলা এমপি বেগম মাহজাবিন খালেদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ঔষধের অনিয়ম প্রতিরোধের লক্ষ্যে বিদ্যমান আইনকে আরো যুগোপযোগি করা হচ্ছে। আইনে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হচ্ছে। আইন মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য এটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি আরো জানান, বর্তমান সরকার ভেজাল, নকল ও মানহীন ঔষধ বিক্রি বন্ধে দেশের বিভাগীয় শহরসহ জেলা ও উপজেরা পর্যায়ে মডেল ফার্মেসি ও মডেল মেডিসিন শপ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং সরকার ইতোমধ্যে ঢাকাসহ সারাদেশে ৩৯৫টি ফার্মেসিকে মডেল ফার্মেসী ও মডেল মেডিসিন শপ হিসেবে অনুমোদন প্রদান করেছে। মডেল ফার্মেসি ও মডেল মেডিসিন শপ থেকে জনগণ মানসম্মত ঔষধ কেনার পাশাপাশি ঔষধের ব্যবহারবিধি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবে। সারাদেশব্যাপী মডেল ফার্মেসি ও মডেল মেডিসিন শপ প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর