২২ অক্টোবর, ২০১৮ ১৮:৪৪

চলতি বছর প্রবাসী আয় ১১ হাজার ৮৭৭ মিলিয়ন ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছর প্রবাসী আয় ১১ হাজার ৮৭৭ মিলিয়ন ডলার

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বি.এস.সি বলেছেন, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ১১ হাজার ৮৭৭.৪২ মিলিয়য়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স আয় হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ২৩তম অধিবেশনের সোমবারের বৈঠকে সরকার দলীয় সদস্য এম. আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। 

নুরুল ইসলাম বি.এস.সি বলেন, বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং প্রবাসীদের অর্থ দেশের ক্রমবর্ধমান কর্মসৃজনের পাশাপাশি বেকারত্ব হ্রাস, দারিদ্র বিমোচন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিসহ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখছে। 

চলতি বছর সৌদি আরব গেছেন ১ লাখ ৮৭ হাজার : 
 
রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য এনামুল হকের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের ১৬৫টি দেশে বাংলাদেশের কর্মী যাচ্ছে। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার। সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি গমন করে থাকে। ২০১৭ সালে দেশটিতে ৫ লাখ ৫১ হাজার ৩০৮ জন এবং চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ৮৭ হাজার ২২৩জন কর্মী সৌদি আরব গেছেন।

দুই বছরে মালয়েশিয়া গেছেন ২ লাখ ৪১ হাজার : 

নাজমুল হক প্রধানের (পঞ্চগড়-১) এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সরকারি তত্ত্বাবধানে অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্টের মাধ্যমে বেসরকারিভাবে মালোয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ করা হয়। ২০১৬ সালে সরকার অধিকহারে কর্মী প্রেরণের জন্য বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্টকে অন্তর্ভুক্ত করে মালয়েশিয়ার সাথে জিটুজি প্লাস সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এ প্রক্রিয়ায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় ২ লাখ ৪১ হাজার ৮৬৭ জন কর্মী প্রেরণ করা হয়েছে। 

তিনি আরও জানান, ইতোপূর্বে সফল শ্রম কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় দুই লাখ ৬৭ হাজার অবৈধ অভিবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকের বৈধতা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও বর্তমানে ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার কারণে যে সকল কর্মী অবৈধ হয়ে পড়েছেন তাদের বৈধকরণের বিষয়ে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর