২৪ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:১২

'বর্তমান সরকার যোগ্যতার প্রমান দিয়েই বাংলাদেশকে দারিদ্রমুক্ত করতে পেরেছে'

নিজস্ব প্রতিবেদক

'বর্তমান সরকার যোগ্যতার প্রমান দিয়েই বাংলাদেশকে দারিদ্রমুক্ত করতে পেরেছে'

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বর্তমান সরকার যোগ্যতার প্রমান দিয়েই বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করতে পেরেছে। খাদ্য নিরাপত্তায় আমরা ৩ হাজার কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করেছি। সমগ্র দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে  বাজেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মোট বাজেটের ১৩.৪ শতাংশ।

মঙ্গলবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট'র সম্মেলন কক্ষে "গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স ২০১৮" শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাজকল্যানমন্ত্রী বলেন, এই খাতের মাধ্যমে সরকার দেশের বৃদ্ধ,বিধবা,হিজড়া,দলিত জনগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীসহ সকল পিছিয়ে থাকা মানুষদের একিভুত সমাজের অংশ করেছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কোন দেশের কাছেই হাত পাতে না,আর্থিক সহায়তা চায়না। তিনি বলেন, কৃষিতে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়ে বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।বিদেশী রাষ্ট্রের কাছ থেকে সাহায্য নেয়াতো দূরের কথা, উলটো বাংলাদেশই এখন অন্য দেশকে খাদ্য সহায়তা করে থাকে। 

তিনি জানান, ২০০৮ সাল থেকেই বাংলাদেশের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে আমাদের সরকার কাজ করে গেছে।সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনার ফলেই বাংলাদেশ আজ ক্ষুধামুক্ত স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ।অন্যদিকে বাংলাদেশ এবছর স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।দেশের জিডিপি বেড়েছে কয়েকগুণ। দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২০০৫ সালের বিএনপি-জামায়াত শাসনের সময়ের ৫৪০ ডলার থেকে এখন দাঁড়িয়েছে ১৭৫২ ডলারে।বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩৩ বিলিয়ন ডলার।

এসময় তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে সরকার পদ্মাসেতু নির্মাণের পাশাপাশি আরও বহু সেতু নির্মাণ, রেলপথ, মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে, বহু সংখ্যক উড়াল সেতু, চার লেন বিশিষ্ট রাস্তা নির্মাণ, ২০১৮ সালের মধ্যে সকল গ্রামকে বিদ্যুতের আওয়াতায় আনা, গ্রামে গ্রামে কমিউনিটি হাসপাতাল ও সর্বোপরি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বাংলাদেশকে মহাকাশের সাথে সংযুক্ত করার বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করেছে। 

তিনি বলেন,দেশের কোথাও একটি মানুষও না খেয়া মারা যায়নি। এক কথায় বলতে গেলে দেশে এখন মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে। বাংলাদেশকে এখন পাকিস্তানসহ কিছু দেশ অনুসরণ করে এগুনোর পরিকল্পনা করছে। বাংলাদেশ যখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা নিয়ে বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করে এগিয়ে যাচ্ছে তখন আমাদের দেশেরই কিছু লোক দেশকে আবার একটি অরাজকতা ও নৈরাজ্যের স্বর্গভূমি করার স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন আর কখনই পুর্ণ হবেনা। বাংলাদেশ যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে সেই গতিতেই সামনের দিকে এগিয়ে যাবে,কোন ষড়যন্ত্রেই কোন ফায়দা হবে না।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে  বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মহসীন ও খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আরিফুর রহমান অপু।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর