ইমারত বা স্থাপনা তৈরি বা মেরামতে শিডিউলে ঘোষিত পরিমাপ লঙ্ঘন করলে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ‘ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড বিল-২০১৮ পাস করা হয়েছে। 

এছাড়া নিবন্ধন সনদ ছাড়া মোড়কজাত পণ্য উৎপাদন, বিপণন ও বিক্রয় করলে এক বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা এবং নিবন্ধন সনদ ছাড়া এলপিজি, এলএনজি বটলিং, টার্মিনাল ও ফিলিং স্টেশন পরিচালনা করলেও একই দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

বিলে অনুমোদনহীন বাটখারা (ওজন মাপার যন্ত্র) উৎপাদন, ব্যবহার ও পণ্যের ওজনে অনিয়মের সাজা ও আর্থিক শাস্তির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে মানদন্ডহীন বাটখারা বা পরিমাপক ব্যবহারের শাস্তি অনূর্ধ্ব একবছরের কারাদন্ডের সঙ্গে অর্থদন্ড বাড়িয়ে এক লাখ টাকা করা হয়েছে। 
এছাড়া, কোনও ব্যক্তি যদি ওজন বা পরিমাপন সম্পর্কিত মডেল অনুমোদনের সনদ ছাড়া তা বিক্রি, বিতরণ, সরবরাহের জন্য তৈরি করেন তাহলে দুই বছরের কারাদণ্ড বা একলাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। 

লাইসেন্স ছাড়া ওজন বা পরিমাপন যন্ত্র বিক্রি করলে, উৎপাদন করলে একবছরের কারাদণ্ড বা একলাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। অনুমোদন বহির্ভূত বস্তু দ্বারা ওজন বা পরিমাপন তৈরি বা উৎপাদন করলে একলাখ টাকা বা তিন বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। মানদণ্ড ব্যতীত, অন্য কোনও ওজন বা পরিমাপন বা সংখ্যমান ব্যবহার করলে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। 

এছাড়া, আন্ডর্জাতিক মান সংস্থাসহ (আইএসও) অন্যান্য সংস্থাগুলোর নিয়মকানুন এ আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মানদণ্ড একক ছাড়া মুখের ভাষায় বা ভিন্নভাবে মূল্য বা চার্জ ঘোষণা করা যাবে না বলেও বিলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিলের উদ্দেশ্য কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, উচ্ছ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ১৯৮৬ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত জারিকৃত অধ্যাদেশগুলোর সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে নতুন আইন প্রণয়নকল্পে মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেই মতে, মন্ত্রিসভা বৈঠকের নির্দেশনার আলোকে ‘দি স্ট্যান্ডার্ডস অব ওয়েটস এন্ড মেজার্স অর্ডিন্যান্স,১৯৮২’ ও ‘দি স্ট্যান্ডার্ডস অব ওয়েটস এন্ড মেজার্স (সংশোধিত) আইন, ২০০১’-এর কয়েকটি ধারা/উপ-ধারা সংশোধন/সংযোজনপূবর্ক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত এককগুলো তফসিলে সন্নিবেশকপূবর্ক তফসিল পুনর্গঠন করে ‘ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন, ২০১৮’ শীর্ষক আইনের খসড়া গত ৯ এপ্রিল মন্ত্রিসভায় চুড়ান্ত অনুমোদন পায়। সময়ের চাহিদার আলোকে সেটি আবারও সংশোধন করে বাংলা ভাষায় আইনটি করার জন্য এই বিলটি আনা হয়।

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর