শিরোনাম
৩০ অক্টোবর, ২০১৮ ১৯:১১

সংলাপে বিদেশিদের কোনো চাপ ছিল না: আইনমন্ত্রী

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

সংলাপে বিদেশিদের কোনো চাপ ছিল না: আইনমন্ত্রী

ফাইল ছবি

আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, ঐক্যফ্রন্টের সাথে সংলাপের প্রস্তাবের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক সিদ্ধান্তে বিদেশি কোন চাপ ছিল না। ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক ড. কামাল হোসেন সংলাপের ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করলে প্রধানমন্ত্রী দেশের গণতন্ত্রের কথা বিবেচনা করে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। বিদেশের কোনো চাপে নত হওয়ার মত মানুষ তিনি নন। তারপরও আমি বলবো বিদেশি কোন চাপ ছিল না। 

মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের কায়েমপুরে জেলা রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সের নবনির্মিত ৪তলা ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
 
মন্ত্রী বলেন, কিছুদিন আগে ঐক্যফ্রন্ট বলে একটা জোট হয়েছে ভালো কথা। গণতান্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক অধিকার সকলের কাছে, রাজনীতি করার অধিকার সকলের আছে। তাদের অতীত ইতিহাস সকলের জানা। তারা দিনের বেলায় এক কথা বলে, রাতের বেলায় আরেক কথা বলে। তারা প্রধানমন্ত্রীকে পত্র দিয়েছেন যে সংলাপ চান। প্রধানমন্ত্রী সেই সংলাপের প্রত্যাশার উত্তর দিয়েছেন, ‘অনেক রক্তের বিনিময়ে, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সংবিধান সংবিধান রেখে আলোচনার দরজা আমার সব সময় উন্মুক্ত।' 
 
জিয়া অরফানেজ মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার ১০ বছরের সাজার পর তিনি নির্বাচন করতে পারবেন কিনা সে ব্যাপারে আদালতই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, সংবিধানে বলা আছে নৈতিকস্খলনের জন্য কোন ব্যক্তিকে যদি আদালত দুই বছরের অধিক সাজা দেন তাহলে তিনি সাজা খাটার পর পাঁচ বছর পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের দুটি রায় আছে। একটি রায়ে বলা আছে, যদি তিনি উচ্চ আদালতে আপিলের আবেদনের প্রেক্ষিতে সাজা স্থগিত করেন তাহলে নির্বাচন করতে পারবেন। আরো একটি বিভক্ত রায়ে একজন বিচারক বলেছেন, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। অপর একজন বিচারক বলেছেন, তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। সুতরাং বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার ব্যাপারে আদালতই সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন।
 
মন্ত্রী বলেন, রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশের রাজস্ব খাতে ১১ হাজার কোটি টাকা থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব দেয়। এই খাতকে অন্যান্য সরকার শুধু অবহেলাই করেনি তাদের মর্যাদা পর্যন্ত দিতে কার্পণ্য করেছে। অবহেলাকে পেছনে ফেলে বিগত ৫ বছর প্রতিষ্ঠানটি অনেক দূর এগিয়ে গেছে। কারণ বিগত ৫ বছরে এই প্রতিষ্ঠানটিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা হয়েছে, যা অতীতে কোন সরকারের আমলে হয়নি। দলিল লেখকদের বয়সসীমা ৬৫ রোহিতকরণ, বিদেশে ট্রেনিং, আইনসহ অনেক উন্নয়ন এই ডিপার্টমেন্টে হয়েছে। 
 
এর আগে, আইনমন্ত্রী বৃক্ষ রোপনের মধ্য দিয়ে ৫০ শতাংশ জমির উপর ৫ কোটি ৫৮ লাখ ৫১ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের ফলক উন্মোচন করেন। 
 
বাংলাদেশ নিবন্ধন এর মহাপরিদর্শক ড. খান মো: আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা বাবলি, জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম, জেলা সাব রেজিস্টার সাবিকুন নাহার, জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূইয়া সাজনু প্রমুখ।

বিডি-প্রতিদিন/৩০ অক্টোবর, ২০১৮/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর