১৭ নভেম্বর, ২০১৮ ০১:৪১

নয়াপল্টন সংঘর্ষ: ‘কী ঘটেছে’ পুলিশের কাছে প্রতিবেদন চাইছে ইসি

নিজস্ব প্র‌তি‌বেদক

নয়াপল্টন সংঘর্ষ: ‘কী ঘটেছে’ পুলিশের কাছে প্রতিবেদন চাইছে ইসি

ফাইল ছবি

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের কাছে প্রতিবেদন চাইছে নির্বাচন কমিশন। ঘটনার বিষয়ে পুলিশের করা স্থিরচিত্র ও ভিডিও এবং একটি প্রতিবেদন চেয়ে চিঠি দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে  সংস্থাটি।

র‌বিবারের মধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে ইসির এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্মসচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান।

মনোনয়নপত্র বিতরণ-জমার মধ্যে বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ইসির সঙ্গে বৈঠকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পরস্পরকে দোষারোপ করেছে। 

ঘটনার পরপর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বৈঠক করে ইসির সঙ্গে। এসময় বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, সরকার ও ইসির আচরণের ওপর তাদের ভোটে থাকা না থাকা নির্ভর করছে। সরকার ভোটের পরিবেশ নষ্ট করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। এদিকে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে অভিযোগ করে ইসিকে বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। 

পুলিশ দাবি করেছে, বিএনপি নেতা-কর্মীরা বিনা উসকানিতে তাদের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে এই ঘটনায় বুধবার রাতে নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আসামি করে তিনটি মামলা করেছে পুলিশ।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, পুলিশের কাছে ঘটনার বিষয়ে দুই দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হবে। সেই সঙ্গে ভোটের পরিবেশ যাতে বিঘ্নিত না হয় সে দিকে নজর রাখতে বলা হবে এবং ঘটনায় সংশ্লিষ্ট নয় এমন ব্যক্তিদের অকারণে হয়রানি না করার নির্দেশ দেয়া হবে। “ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশের কাছে পাঠানোর জন্য চিঠি প্রস্তুত করা হয়েছে। ইসির অনুমোদনের পরই রব‌িবার তা পাঠানো হবে” বলেন নির্বাচন পরিচালনা শাখার একজন কর্মকর্তা।

দলীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমাকে কেন্দ্র করে মিছিল, শোডাউন হওয়ায় ‘আচরণবিধি লঙ্ঘল’ বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পুলিশ মহাপরিদর্শককে ১৩ নভেম্বর চিঠি দেয় ইসি। ইসি কর্মকর্তারা জানান, গণমাধ্যম প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পল্টন কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়পত্র সংগ্রহ ও জমাদানকালে লোক সমাগমে রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ রাস্তায় যানচলাচল পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পদক্ষেপ নেয়।

 এবার চিঠিতে বলা হচ্ছে- ঘটনার সময় স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্য প্রমাণাদিসহ দু’দিনের মধ্যে একটি প্রতিবেদন পাঠাতে হবে। ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট নয় এমন কোনো ব্যক্তিকে যেন অকারণে হয়রানি করা না হয় এবং ভোটের পরিবেশ ও সুষ্ঠু আবহ যেন বিঘ্নিত না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখার জন্যও নির্দেশনা রয়েছে ইসির।

বুধবার ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছিলেন, পল্টনে সেদিন কী ঘটেছিল তা খতিয়ে দেখা হবে। এ বিষয়ে পুলিশ বিভাগ থেকে জানতে চাওয়া হবে।

এ ঘটনার পর ইসি আরও শক্ত পদক্ষেপ নিবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, যখন তফসিল ঘোষণা করা হয় নির্বাচন কমিশনের উপর সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ জনপ্রশাসন নির্বাচন কমিশনের উপর ন্যাস্ত হয়। সুতরাং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের উপর ন্যাস্ত। নির্বাচন কমিশন যেভাবে তাদের নির্দেশনা দিবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সে ভাবে কাজ করবে।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর