১৯ নভেম্বর, ২০১৮ ১৯:৫৫

'নির্বাচন কমিশনের হাত অনেক লম্বা'

নিজস্ব প্রতিবেদক

'নির্বাচন কমিশনের হাত অনেক লম্বা'

ড. বদিউল আলম মজুমদার (ফাইল ছবি)

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের হাত অনেক লম্বা। তারা চাইলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারেন। এই কমিশনের অধীনেই রংপুর সিটিতে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন কমিশন, সরকার, নির্বাচনী কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বহিনীসহ সকলেই যদি তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে, তাহলেই আমরা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য একাদশ জাতীয় নির্বাচন প্রত্যক্ষ করবো। 

সোমবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব কনফারেন্স লাউঞ্জে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। 

সংসদ বহাল রেখে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিধায় তিনটি কারণ উল্লেখ করে ড. বদিউল আলম মজুমদার সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সংশয়ও প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা তা নিয়ে আমাদের তিনটি প্রধান সংশয় রয়েছে। প্রথমত, এই নির্বাচন হচ্ছে দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়। এই অবস্থায় প্রশাসন তথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রভাবিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। দ্বিতীয়ত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সংসদ বহাল রেখেই। তাই, মন্ত্রী বা এমপিরা যেন নির্বাচনী আচরণবিধি যথাযথভাবে মেনে চলেন এবং তাদের পদের প্রভাব ব্যবহার না করতে পারেন সতর্ক থাকতে হবে। তৃতীয়ত, নির্বাচন কমিশনকে আইনি ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে নৈতিকতা ও সাহসিকতার সাথে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা কর্ণোগোচর বা দৃষ্টিগোচর হলে, অভিযোগ দায়েরের অপেক্ষা না করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি যে কোনো অভিযোগে পেলেও দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ত থাকার কোনো সুযোগ নেই।’ 

একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিশনের অগাধ ক্ষমতা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবও দেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। 

এসময় লিখিত বক্তব্য রাখেন সুজন-এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘নিয়মানুযায়ী নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সবকিছুই নির্বাচন কমিশনের কর্তৃত্বে চলে আসে। সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাহী বিভাগের অবশ্য কর্তব্য হলো নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা। সে কারণেই একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ তথা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশনকে তার আইনি দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। এজন্য সুজনের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন এবং সরকারকে প্রভাবমুক্তভাবে নির্বাচন কমিশন, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্বপালনে সহযোগিতা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। সরকারের প্রতি সুজনের আহবান, সকলের প্রতি এই বার্তা দিন যে, সরকার অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ তথা সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। তাহলেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক, প্রতিযোগিতামূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য।  

এসময় উপস্থিত ছিলেন সুজনের ঢাকা মহানগর সহ-সভাপতি ক্যামেলিয়া চৌধুরী, সমন্বয়কারী শামীমা মুক্তা প্রমুখ। 

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর