১৬ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৫:৪৬

'সেটা আমার ভাবনার বাইরে ছিল'

অনলাইন ডেস্ক

'সেটা আমার ভাবনার বাইরে ছিল'

বুধবার দুপুরে শাহনাজ আক্তারকে বাইক হস্তান্তর করে পুলিশ। ছবি- জয়ীতা রায়

খোয়া যাওয়া স্কুটি ফিরে পেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত সেই উবারচালক শাহনাজ আক্তার বলেছেন, ''আমি অনেক খুশি। সর্বপ্রথম এজন্য সাংবাদিক ভাইদের ধন্যবাদ জানাই, দ্বিতীয়ত আইনের ভাইদেরকে ধন্যবাদ জানাই। পুলিশ যে এতো পরিশ্রম করে এতো কম সময়ে বাইকটা উদ্ধার করবে, সেটা আমার ভাবনার বাইরে ছিলো। আজ আবারো মনে হচ্ছে, পুলিশ চেষ্টা করলে সব পারে।''

বুধবার দুপুরে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনারের (ডিসি) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এতো ত্বরিত গতিতে বাইক উদ্ধারের পেছনে পুলিশের তৎপরতায় বিস্মিত শাহনাজ বলেন, চুরি হওয়ার পর থেকে পরিবার ও স্বজনরা বলেছে, ওটার আশা আর কইরো না। পুলিশ ওই বাইক বের করতে করতে চোর বিক্রি করে খেয়ে ফেলবে। বাইকটা উদ্ধার করে দিয়ে পুলিশ যে উপকাররা করলো তা বলে বোঝাতে পারব না।

''আমি সবসময় বলে আসছি আমি কারো সাহায্য চাই না। উপকার করতে চাইলে আমাকে একটা স্থায়ী চাকরি দেন'' যোগ করেন তিনি।

এ সময় শাহনাজকে উদ্ধার হওয়া বাইকটি হস্তান্তরের পাশাপাশি তেজগাঁও বিভাগের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা করা হয়। ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার শাহনাজের হাতে বাইকের চাবি ও আর্থিক সহায়তা তুলে দেন।

এর আগে, মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে শাহনাজের স্কুটিটি (ঢাকা মেট্রো- হ ৫৫২৯৪৭) ছিনতাই হয়। এ সংক্রান্ত শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা (নং- ১৪) দায়ের করা হয়। এরপর তেজগাঁও জোনের এসি আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম কাজ শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তারা অভিযুক্ত জোবায়দুল ইসলাম জনির নাম্বার ট্রেস করে তার বোনের নম্বর পেয়ে যাই। এরপর তার বোনের কাছ থেকে নারায়ণগঞ্জের একটা ঠিকানা পাই। সে অনুযায়ী রাতেই নারায়ণগঞ্জের রঘুনাথপুর গ্রাম থেকে জনিকে গ্রেফতারসহ বাইকটি উদ্ধার করে পুলিশ।

বিডি-প্রতিদিন/১৬ জানুয়ারি, ২০১৯/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর