২১ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৯:৪৬
মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সিপিবি'র বিক্ষোভ সমাবেশ

অন্ধকারের রাজনীতি অন্ধকারের অর্থনীতির জন্ম দিচ্ছে : সেলিম

নিজস্ব প্রতিবেদক

অন্ধকারের রাজনীতি অন্ধকারের অর্থনীতির জন্ম দিচ্ছে : সেলিম

সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি'র (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, রাতের অন্ধকারে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকারকে পদদলিত করা হয়েছে। ভুয়া ভোট করে সরকার জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এখন সরকার জনগণের ভাতের অধিকারও কেড়ে নিচ্ছে। গণবিরোধী অন্ধকারের রাজনীতি এখন অন্ধকারের অর্থনীতির জন্ম দিচ্ছে।

চালসহ নিত্য-প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি একথা বলেন।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম, সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড ডা. ফজলুর রহমান, কমরেড ডা. সাজেদুল হক রুবেল। সমাবেশ পরিচালনা করেন সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন।

সমাবেশে সেলিম আরও বলেন, জনসমর্থনের তোয়াক্কা না করে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে লুটেরা ধনিক শ্রেণিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে সরকার নানা গণবিরোধী তৎপরতা চালাচ্ছে। জনগণের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে দুর্নীতিবাজ, লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষা করছে সরকার। সরকারের সক্রিয় সহযোগিতায় অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। সরকার বলেছে যেভাবে ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ ভোট হয়েছে, তেমনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ই আগামীতে দেশ চালাবে। সরকারের এই কথা থেকেই বোঝা যায়, যেভাবে ভোট ডাকাতি হয়েছে তেমনি করেই সরকার আগামীতে জনগণের সম্পদ ডাকাতি করতে চায়। 

সরকারের গণবিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে কমরেড সেলিম বলেন, জনগণকে সব সময় সজাগ থাকতে হবে। জমি বন্ধক রাখা যায়, কিন্তু স্বার্থ কখনও বন্ধক রাখা যায় না। লড়াইয়ের মাধ্যমেই সরকারকে যথাযথ জবাব দিতে হবে।

সমাবেশে কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অর্থনীতির বিপরীতে দেশ এখন চলছে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে। মুক্তিযুদ্ধের ধারায় দেশকে ফিরিয়ে আনতে হবে। ভোট ও ভাতের অধিকার আদায় করতে নীতি ও ব্যবস্থার বদল ঘটাতে হবে। তার জন্য জনগণকে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ নিত্য-প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানো এবং জনগণের স্বার্থে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য মজুদদার-মুনাফাখোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। একইসঙ্গে নেতৃবৃন্দ রেশনিং ও গণবণ্টন ব্যবস্থা চালুর দাবি জানান। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

বিডি প্রতিদিন/২১ জানুয়ারি ২০১৯/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর