১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ২০:৩২

'ঋণখেলাপির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাই'

নিজস্ব প্রতিবেদক

'ঋণখেলাপির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাই'

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, শিল্প ঋণে সুদের হারে শুভঙ্করের ফাঁকির বিষয়টি পুরোপুরি সত্য নয়, আংশিক সত্য। আমি ইতোমধ্যে কয়েক দফায় ব্যাংক ও আর্থিক খাতের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। ২১টি ব্যাংক এক অঙ্কে সুদের হার নামিয়ে এনেছে। আমি সংসদ সদস্যদের আশ্বস্ত করতে চাই- খেলাপি ঋণ আর বাড়বে না। ঋণখেলাপির সংস্কৃতি থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে চাই। 

ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে রবিবার সংসদের বৈঠকে কার্যপ্রণালী বিধির ৭১ বিধিতে শিল্প ঋণের সুদের হারে শুভঙ্করের ফাঁকি প্রসঙ্গে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গার আনা জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ মনোযোগ আকর্ষণী নোটিশের জবাবে সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

তিনি আরও বলেন, আমরা ব্যবসাবান্ধব সরকার। এ সরকার ব্যবসায়ীদের বিপক্ষে নয়। ব্যবসায়ীরা ব্যবসা না করলে দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর হবে কীভাবে? আমি আশ্বস্ত করতে চাই, শিল্প ঋণের সুদের হারের বিষয়ে অতি শিগগিরই সবাই একটা ফলপ্রসূ পদক্ষেপ দেখতে পাবেন। ক্ল্যাসিফাইড ঋণ আর বাড়বে না।

আ হ ম মুস্তফা কামাল আরও বলেন, শিল্প ঋণে সুদের হারে শুভঙ্করের ফাঁকির বিষয়টি নিয়ে আমি ইতোমধ্যে কয়েক দফায় ব্যাংক ও আর্থিক খাতের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা সবাই এ ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। 

নোটিশে মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, বেসরকারি ব্যাংকগুলো শিল্প ঋণের সুদের হার এখনও সিঙ্গেল ডিজিটে নামায়নি। এ বছরের জানুয়ারিতে ১১টি ব্যাংক ৯ শতাংশ সুদের শিল্প ঋণ দেওয়ার দাবি করলেও ব্যবসায়ীরা বলছেন বাস্তবে সাড়ে ১১ থেকে ১৩ শতাংশ সুদ আদায় করা হচ্ছে। কোনো ব্যাংকই ৯ শতাংশ সুদে শিল্প ঋণ দিচ্ছে না। সুদের হিসাবে শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ব্যাংকগুলো প্রকৃত সুদহার গোপন রেখে বাংলাদেশ ব্যাংকে তথ্য পাঠাচ্ছে। যে হারে সুদ নিচ্ছে তার প্রকৃত চিত্র প্রকাশ হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ বছরের জানুয়ারির প্রতিবেদনেও বিষয়টি উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে বেসরকারি ব্যাংক শিল্প ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার এখনও সিঙ্গেল ডিজিটে নামায়নি। 

সরকারি মতে,  ঋণের সুদ হবে সর্বচ্চ ৯ শতাংশ এবং ছয় মাস মেয়াদি আমানতের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ। কিন্তু এফবিসিসিআই বলছে সঞ্চয়পত্রে ১২ শতাংশ সুদ পেলে কেউ ব্যাংকে ৬ শতাংশে এফ ডি আর করতে যাবে না।

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর