১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ২০:৫১

৮৭ ভাগ মানুষ নিরাপদ পানি সুবিধা পাচ্ছে: এলজিআরডি মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

৮৭ ভাগ মানুষ নিরাপদ পানি সুবিধা পাচ্ছে: এলজিআরডি মন্ত্রী

ফাইল ছবি

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের শতকরা ৮৭ ভাগ মানুষ নিরাপদ পানি এবং ৯৯ ভাগ মানুষ মৌলিক স্যানিটেশন সুবিধার আওতাভুক্ত। এ হিসাবে দেশের ১৩ কোটি ৯২ লাখ মানুষ নিরাপদ পানি সুবিধা ভোগ করছে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজ সংসদের বৈঠকের নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আনোয়ারুল আজিমের (ঝিনাইদহ-৪) লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। মন্ত্রী আরো বলেন, ৯৯ ভাগ মানুষ মৌলিক স্যানিটেশনের আওতায় অন্তর্ভুক্তির মধ্যে ৬১ ভাগ মানুষ উন্নত ল্যাট্রিনের আওতাভুক্ত রয়েছে। অবশিষ্ট ২৮ ভাগ জনগণ যৌথ ল্যাট্রিন এবং ১০ ভাগ অনুন্নত ল্যাট্রিন ব্যবহার করেন। এই হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (‘হু) বা ইউনিসেফ, জয়েন্ট মনিটরিং প্রোগ্রাম (জেএমপি), ২০১৫ অনুযায়ী বর্তমানে উন্নত স্যানিটেশন ব্যবহারকারী সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৯ কোটি ৭৬ লাখ।

সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে জানান, এমপিদের নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নে প্রত্যেক সংসদ সদস্যের জন্য ২০ কোটি টাকার থোক বরাদ্দ রয়েছে।

কনক্রিটের সড়ক নির্মাণের বিষয়টি এখনও পরীক্ষাধীন:
এম, আবদুল লতিফের ( চট্টগ্রাম-১১) লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, দেশব্যাপী বিটুমিনের পরিবর্তে কনক্রিটের সড়ক নির্মাণের বিষয়টি এখনও পরীক্ষাধীন রয়েছে।  এই সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। যেমন, কনক্রিটের  রাস্তা নির্মাণের ক্ষেত্রে  কনক্রিট ঢালাইয়ের পরে কিউরিং এর জন্য পর্যাপ্ত সময় প্রয়োজন এবং ঐ সময়ে রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। প্রতি কিলোমিটার কনক্রিটের রাস্তা নির্মাণ খরচ বিটুমিনাস রাস্তা নির্মান খরচের চেয়ে ২.২ থেকে ২.৫ গুণ বেশি।  কনক্রিটের রাস্তা নির্মাণে পাথর ব্যবহার করতে হয় যা আমদানি নির্ভর এবং এই ধরণের সড়ক নির্মাণে পর্যাপ্ত  যন্ত্রপাতির অভাব রয়েছে।

তিনি আরো জানান, দেশের হাওড় ও নীচু এলাকায় যে সকল সড়ক বন্যার পানিতে ডুবে যেতে পারে সে সকল রাস্তায় এই ধরণের কনক্রিটের রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে যা বর্ষাকালে  ডুবে থাকে এবং শুস্ককালে সড়ক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।  এছাড়া বাজার এলাকায়  ফ্লেক্সিবল পেভমেন্টের যে অংশ  দ্রুত পানি নিষ্কাশনের সুবিধার অভাবে নষ্ট হয়, মেরামতের সময় সড়কের সে অংশে রিজিড পেভমেন্ট নির্মান করা হয়। বর্তমানে এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
 
ঢাকায় ৪৩টি পার্ক ও ৪টি শিশু পার্ক:  
হাজী মো. সেলিমের (ঢাকা-৭) এক প্রশ্নের জবাবে  স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান,  ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মোট ৪৩টি পার্ক ও ৪টি শিশু পার্ক রয়েছে। এর মধ্যে  উক্তর সিটি করপোরেশনে  ২৩টি পার্ক ও ৪টি শিশু পার্ক রয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিয়ন্ত্রণাধীন ২০টি পার্ক রয়েছে।  পার্কগুলোর উন্নয়নে উভয় সিটি করপোরেশনেরই  প্রকল্প চলমান রয়েছে এবং আগামী ২০২১ সালের  মধ্যেই কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানান।

দেশে গ্রাম পুলিশ ৪৫ হাজার ৭০০ :
হাজী সেলিমের অপর প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে  ইউনিয়ন পরিষদের সংখ্যা ৪ হাজার ৫শত ৭১টি। প্রতিটি ইউেিন পরিষদে ১০ জন গ্রাম পুলিশ রয়েছে। সে অনুযায়ী সারাদেশে বর্তমানে গ্রামপুলিশের সংখ্যা  ৪৫হাজর ৭শ ১০ জন।  

সাড়ে ৮শত কোটি টাকার নারীর সামর্থ্যে উন্নয়ন ‘স্বপ্ন’ প্রকল্প অনুমোদিত:
দিদারুল আলমের (চট্টগ্রাম-৪) লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় প্রধানমন্ত্রী অগ্রাধিকারভুক্ত প্রকল্প হিসেবে উৎপাদনশীল ও সম্ভাবনাময় কর্মের সুযোগ গ্রহণে ‘নারীর সামর্থ্যে উন্নয়ন (স্বপ্ন)’ শীর্ষক প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ শত ৫৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। প্রকল্পের ২য় চক্রের আওতায় কুড়িগ্রাম ও সাতক্ষীরা জেলার ১২৪টি ইউনিয়নে ৪ হাজার ৪ শত ৬৪জন সুবিধাবঞ্চিত, অসহায় মহিলাদের দারিদ্র বিমোচনে এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর