কোটা সংস্কার আন্দোলন ও বিগত সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসার লক্ষ্যে বিশেষায়িত ডেডিকেটেড কেয়ার ইউনিট গঠন করা হয়েছে। এতে আহতদের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।
আজ শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহের সঙ্গে শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. আসাদুজ্জামানের একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আহত চিকিৎসাধীন ছাত্র-জনতার চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এগুলো হলো-
১. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন, তাদের সুচিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত ডেডিকেটেড কেয়ার ইউনিট তৈরি করে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা হবে।
২. আহত ছাত্র-জনতা বিভিন্ন ধরনের ইনজুরিতে ভুগছেন এবং তাদের এমন অনেকে রয়েছেন। তাদের অস্ত্রোপচার পরবর্তী সংক্রমণের প্রবল ঝুঁকি রয়েছে। এই সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষায়িত ডেডিকেটেড কেয়ার ইউনিটগুলোতে কেবল বিশেষায়িত কনসালটেন্ট বা চিকিৎসক, নার্সরা এবং রোগীর বৈধ প্রতিনিধি ব্যতীত অন্য কাউকে প্রবেশ করানো যাবে না।
৩. এসব বিশেষায়িত ডেডিকেটেড কেয়ার ইউনিটে সংশ্লিষ্ট পরিচালক সার্বক্ষণিক নজরদারি করবেন।
উল্লেখ্য, বিশেষায়িত ডেডিকেটেড কেয়ার ইউনিটগুলোতে রোগীর স্বজন বা বৈধ প্রতিনিধি পরিচালকের অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকবেন। এটি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য জরুরি বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ