সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেন সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। এ সময় সঙ্গে নিয়েছিলেন নগদ ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা, ব্রিটিশ পাসপোর্টসহ ব্যক্তিগত বিভিন্ন সামগ্রী। তবে শেষমেশ বিজিবির হাতে আটক হতে হয় তাকে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) ওই সীমান্ত এলাকা থেকে রাত ১১টা ২০ মিনিটে আটক হয় সাবেক এ বিচারপতি।
পালিয়ে যাওয়ার জন্য যাদের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন, তারাই নগদ সব টাকা নিয়ে তাকে একা ফেলে চলে যায়। তবে আটকের সময় বিজিবি তার কাছ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা জব্দ করেছে বলে জানা গেছে।
আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ মালিক বলেন, আমার সাথে ব্রিটিশ পাসপোর্ট, বাংলা পাসপোর্ট, নগদ কিছু টাকা, ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড ছিল।
আপনার সঙ্গে আর কী ছিল, এমন প্রশ্নের জবাবে জানতে চাইলে সাবেক এই বিচারপতি বলেন, তেমন কিছু ছিল না। চল্লিশ হাজারের মতো টাকা ছিল। গতকাল ৬০-৭০ লাখ টাকার মতো ছিল। ওটা নিয়ে গেছে।
কে নিয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেগুলো ওই দুই ছোকরাই নিয়েছে। আমার সঙ্গে কিচ্ছু নাই, সব নিয়ে গেছে। আমি ১৫ হাজার টাকা চুক্তিতে আসছিলাম, ওই টাকা আমি তাদের দিয়েছি। কিন্তু পরে ওই দুই ছেলে আমাকে মারধর করে সব নিয়ে গেছে।
তাকে আটকের পর ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন তাকে জিজ্ঞাসা করছেন, আপনি পালিয়ে যাচ্ছিলেন কেন? তখন বিচারপতি মানিক বলেন, প্রশাসনের ভয়ে পালিয়ে যেতে চাচ্ছিলাম। এসময় অপর পাশ থেকে একজন জিজ্ঞাসা করেন, আপনি তো অনেক জুলুম করেছেন। তখন তিনি বলেন, আমি কোনো জুলুম করিনি।
এর আগে, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করায় সাবেক এই বিচারপতির বিরুদ্ধে নোয়াখালীর আদালতে মামলা করা হয়েছিল।
সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হাসান পলাশ বাদী হয়ে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলি আদালতে মামলাটি করেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন