গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর সারাদেশে বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এ সময় অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট করে নেয় উচ্ছৃঙ্খল জনতা। এসব অস্ত্রের বেশির ভাগ এখনও উদ্ধার হয়নি। তবে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ সদর দফতরের তথ্যানুযায়ী, লুট হওয়া এক হাজার ৮১৪টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ৮৭ হাজার ৪০ রাউন্ড গুলি, দুই হাজার ৬৪৭টি টিয়ার শেল এবং ২৯২টি সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য দেন।
তিনি বলেন, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার চলছে। কারও কাছে অবৈধ অস্ত্র থাকলে নিকটবর্তী থানায় জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে দেশে ব্যাপক সহিংসতার পর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেছেন, “ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর ৫০টি থানার মধ্যে ২২টি পুড়েছে, অনেক পুলিশ সদস্য হতাহত হয়েছেন। ফলে এখনও অনেকটা আতঙ্কে আছেন পুলিশ সদস্যরা। তাই পুলিশ পূর্ণরূপে ফিরে আসতে কিছুটা সময় লাগবে।”
পুলিশ সদর দফতর সূত্র বলছে, হামলা ও নাশকতায় দেশের পাঁচ শতাধিক থানার কার্যক্রমে এখনও কোনও গতি আসেনি। ফলে মাঠ পর্যায়ে পুলিশ না থাকায় সামাজিক অপরাধ বাড়ছে। তবে সেনাবাহিনী সার্বিক শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশকে সহযোগিতা করছে।
এ অবস্থায় পুলিশকে নতুন নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সারা দেশের থানাগুলোতে মামলা, সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও এফআইআর দ্রুত নিতে তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মামলার তদন্তে বিলম্ব না করার নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
বিডি প্রতিদিন/একেএ