বন্যায় প্লাবিত দেশের ১১ জেলার নয়টিতে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কেএম আলী রেজা।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য এক কোটি টাকা নগদ বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত সচিব কেএম আলী রেজা এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় জানিয়েছে- দেশের পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় এখন পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে কুমিল্লায় ১২ জন, ফেনী-২, চট্টগ্রামে-৫, খাগড়াছড়ি-১, নোয়াখালী-৬, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১, লক্ষ্মীপুর-১ ও কক্সবাজারে ৩ জন মারা গেছে। তবে মৌলভীবাজারে দুই ব্যক্তি এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
আক্রান্ত ১১ জেলার ৭৩ উপজেলা ও ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন, পৌরসভা ৫২৮টি। পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয় প্রদানের জন্য মোট ৪ হাজার তিনটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। অশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় মোট ৫ লাখ ৪০ হাজার ৫১০ ব্যক্তি ও ৩৯ হাজার ৫৩১ গবাদি পশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নগদ বরাদ্দ এক কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে। এদে বরাদ্দ দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৫২ লাখ টাকায়।
বন্যা কবলিত এলাকায় সরকারি-বেসরকারিসহ সব পর্যায় থেকে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক কর্তৃক সংগৃহীত মোট ৮৮ হাজার ৫০০ প্যাকেট শুকনা খাবার, কাপড় ও পানি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের (ডিডিএম) মাধ্যমে বন্যা কবলিত এলাকায় পাঠানো হয়েছে। ডিডিএম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মধ্যে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
বন্যা আক্রান্ত জেলাসমূহের প্রশাসকদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, মেডিকেল টিম ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সমন্বয় করে একসাথে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/একেএ