বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যার্ত মানুষদের জন্য আরও ১০ লাখ ডলার সহায়তা দেবে জাপান সরকার।
আজ শুক্রবার এক ভিডিওবার্তায় এ কথা জানান ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, “জাপান বাংলাদেশিদের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে চায়। এরই ধারাবাহিকতায় জাপান সরকার ইউএনএইচসিআর এবং ইউনিসেফের মাধ্যমে বন্যাকবলিত এলাকায় ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জাতিসংঘের এই দুটি সংস্থা দ্রুত ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেবে যাদের প্রয়োজন তাদের কাছে।”
এর আগে জাপানি এনজিওগুলোর প্ল্যাটফর্ম ২০ লাখ ডলারের সহায়তা দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই কর্মসূচির আওতায় বর্তমানে সাতটি জাপানি এনজিও বন্যাকবলিত এলাকায় বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করছে।’
“এছাড়া, ঢাকায় জাপানিজ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন এবং ঢাকায় জাপানিজ অ্যাসোসিয়েশন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিবর্গ ও পরিবারদের সহায়তার জন্য বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে মোট দুই লাখ টাকা দান করেছে।”
রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা বলেন, “আমি আন্তরিকভাবে আশা করি যে সরকার, ব্যবসায়িক, এনজিও এবং অন্যান্যদের কাছ থেকে এই সহায়তা বাংলাদেশিদের আবারও 'ভালোভাবে গড়ে তুলতে' সাহায্য করবে।”
“এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে পুনরুদ্ধারে এবং আরও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের দিকে যাওয়ার পথ নির্ধারণে বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণকে সহায়তা করার জন্য দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বের অধীনে জাপানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার মাধ্যমে আমি শেষ করছি।”
ভিডিওবার্তার শুরুতে বাংলায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, “শুরুতেই বাংলাদেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আমার গভীর সহানুভতি প্রকাশ করার অনুমতি চাচ্ছি। আমি আরও যারা উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে রাত দিন কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানাতে চাই।”
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ হিসেবে জাপান বাংলাদেশকে সবসময় সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ