বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দিনাজপুরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ ৮৪জনের নাম উল্লেখ করে হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কোতয়ালী থানায় এই মামলা দায়ের করেন দিনাজপুর সদর উপজেলার উত্তর শেখপুরা গ্রামের আক্কাস আলীর স্ত্রী মোছা. রাশেদা খাতুন।
তার ছেলে আশরাফুল আলম ওই হামলার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন। তার চোখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গুলির স্প্রিন্টার নিয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলার তদন্তভার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজা মিয়াকে দেওয়া হয়েছে।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম, সাবেক সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক ও মনোরঞ্জন শীল গোপালসহ ৮৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত ৩০০ থেকে ৩৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে মোছা. রাশেদা খাতুন উল্লেখ করেন, গত ৪আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন হাজার হাজার ছাত্র জনতার স্বৈরাচারবিরোধী মিছিলে আমার ছেলে আশরাফুল আলম (৩৪) অংশগ্রহণ করে। ওইদিন বেলা ১২টায় মিছিলটি দিনাজপুর সদর হাসপাতাল মোড়ে এলে সুপরিকল্পিত ও প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মিছিলের ওপর হামলা চালায়। এতে শত শত ছাত্র-জনতা গুরুতর জখম হয়। এতে আশরাফুল আলমের শরীরের বিভিন্ন অংশে ৭টি গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে প্রথমে দিনাজপুর সদর হাসপাতাল ও পরে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে দিনাজপুরসহ ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তার শরীরে এখনও গুলির স্প্রিন্টার রয়েছে। বর্তমানে সে ঢাকায় চিতিৎসাধীন রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন