অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মহাপরিচালক গিলবার্ট হংবোও।
নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) একটি হোটেলে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)-এর হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করেন।
গ্র্যান্ডি সংকট মোকাবিলায় একটি নতুন পদ্ধতির আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের আশ্রয় শিবিরে থাকা ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার দুর্দশা অবসানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও বেশি কিছু করা উচিত।
তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের নতুন নেতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বিশ্বব্যাপী আগ্রহ বেড়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় আরও অর্থায়ন হবে।
‘বিশ্বব্যাংকের ৭০০ মিলিয়ন ডলার একটি ভাল সূচনা বিন্দু’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার জন্য আরও সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস সংকটের দ্রুত সমাধান খুঁজে বের করার এবং বাংলাদেশের আশ্রয় শিবিরে বেড়ে ওঠা লাখ লাখ রোহিঙ্গা শিশুর ভবিষ্যতের জন্য আরও বেশি কিছু করার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, ‘খুব দেরি হওয়ার আগেই আমাদের এর সমাধান করতে হবে। আমাদের একটি সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।’
আইএলও মহাপরিচালক গিলবার্ট হংবোও বৃহস্পতিবার পরে একটি হোটেলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
গিলবার্ট হংবোও বাংলাদেশে আইএলও কনভেনশন বাস্তবায়নের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপে জাতিসংঘের শ্রম সংস্থার সহায়তার প্রস্তাব দিয়ে বলেন, ‘আমরা আপনার সহায়তায় প্রস্তত আছি।’
তিনি বলেন, ‘যদিও কখন’ প্রয়োজন হয় আইএলও তার আহ্বানে সাড়া দেবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শ্রম সংস্কার তার সরকারের একটি শীর্ষ অগ্রাধিকার। কেননা তার সরকার এটিকে বাংলাদেশকে বিশ্বমানের উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত করার মূল বিষয় হিসেবে দেখে।
প্রফেসর ইউনূস শ্রম সমস্যা নিরসন বাংলাদেশের জন্য অধিক বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সুযোগ করে দেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে খুবই আন্তরিক।’
সূত্র : বাসস।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত