ক্রীড়াঙ্গনের সার্বিক উন্নয়ন এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে ক্রীড়া সংস্থাতেই দুই মেয়াদের বেশি একই পদে কেউ থাকতে পারবে না মর্মে একটি সাধারণ নীতিমালা খুব শিগগিরই প্রণয়ন করা হবে। প্রতি বছর ক্রীড়া সংস্থাগুলোকে তাদের আয়-ব্যয়ের অডিট রিপোর্ট এবং প্রগ্রেস রিপোর্ট জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে পেশ করতে হবে।
শুক্রবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত ক্রীড়াঙ্গনের সার্বিক উন্নয়নে ক্রীড়া সংগঠক, খেলোয়াড়, কোচ ও রেফারিদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া- এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, গতিশীল ক্রীড়াঙ্গন গড়তে আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে। খেলাধুলার মাধ্যমে শৃঙ্খলা চর্চায় উদ্বুদ্ধ হওয়া যায়। ক্রীড়াঙ্গনের সার্বিক উন্নয়ন ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আমরা সার্চ কমিটি গঠন করে দিয়েছি, তারা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, বিদ্যমান সিস্টেমে ক্রীড়া সংস্থাগুলো স্বায়ত্তশাসিত পদ্ধতিতে পরিচালিত হচ্ছে। ফেডারেশনগুলোর বিভিন্ন কর্মকান্ডকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাথে সংযোগ স্থাপন সংক্রান্ত নীতিমালা প্রস্তুতের কাজ চলমান।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, বিগত সরকারের সময় ক্রীড়াঙ্গনকে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে। বর্তমানে ক্রীড়াঙ্গনেকে রাজনীতির প্রভাবমুক্ত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। একই সাথে ক্রীড়ার মান উন্নয়নে বাজেট বৃদ্ধির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে স্পনসরদের ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল