বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এরই অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ ১১ দেশে সম্পদের তথ্য সংগ্রহে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।
একইসঙ্গে তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়েও আবেদন করেছে দুদক।
বৃহস্পতিবার দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এ কর্মকর্তার সম্পদ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ ১১ দেশে তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ গ্রহণ, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎপূর্বক কোটি কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।
অনুসন্ধানকালে জানা যায়, তিনি দেশত্যাগ করে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এ পরিস্থিতিতে তিনি যেন বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারেন, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন মাসুদ বিশ্বাস। সরাসরি অর্থ পাচারের অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।
দুদক জানিয়েছে, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের সঙ্গে যোগসাজশে ইসলামী ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার করেছেন মাসুদ বিশ্বাস।
সেই সঙ্গে আবদুল কাদির মোল্লার থার্মেক্স গ্রুপ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে বিদেশে অর্থ পাচারসহ ঘুষের বিনিময়ে জিনাত এন্টারপ্রাইজের বিদেশে অর্থ পাচারের মামলা ধামাচাপা দিয়ে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/একেএ