প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বর্তমান সরকার মানুষের বাসস্থানসহ সব মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার। বর্তমান সরকার মানুষের বাসস্থানসহ এসব মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর।
‘বিশ্ব বসতি দিবস’ উপলক্ষে রবিবার (৬ অক্টোবর) দেয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দিবসটি পালিত হবে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘তরুণদের সম্পৃক্ত করি, উন্নত নগর গড়ি’।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দেশের উন্নয়নকে বেগবান ও টেকসই করার লক্ষ্যে এসব প্রতিকূলতাকে নির্মূল করার জন্য সরকার সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশের অনেক শহরের মতোই বাংলাদেশের শহর বা নগরগুলো এখনো অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই নগর উন্নয়ন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারেনি।
দারিদ্র্য, বৈষম্য, দুর্নীতি, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা, নাগরিক নিরাপত্তাহীনতা, পরিবেশগত বিপর্যয় তথা জলবায়ু পরিবর্তনের নানা অভিঘাতে ভুগছে এদেশের ছোটো-বড় বিভিন্ন শহর।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তারুণ্য শক্তি, সাহস ও পরিবর্তনের প্রতীক। বৈষম্যহীন, শোষণহীন ও কল্যাণকর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ছাত্র-জনতার বিগত দিনের আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণই প্রমাণ করে তারুণ্যকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারে না। এখনকার তরুণেরা অনেক বেশি আধুনিক এবং প্রযুক্তি ব্যবহারে অগ্রগামী।
তরুণদের অদম্য মেধা, পরিশ্রম, ঐকান্তিক নিষ্ঠা ও সততা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নতুন আলোয় উদ্ভাসিত করবে বলে দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করেন তিনি।
মুহাম্মদ ইউনূস প্রযুক্তিগত জ্ঞান, উৎকর্ষ ও তরুণদের উদ্যোগ আর প্রবীণ অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান আমাদের দেশে উন্নত ও নিরাপদ নগর প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশে যথাযথ মর্যাদায় ‘বিশ্ব বসতি দিবস-২০২৪’ উদ্যাপিত হতে যাচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ এবং দিবসটির সব কার্যক্রমের সাফল্য কামনা করেন।
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার নিরাপদ বাসস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতিসংঘ ১৯৮৬ সাল থেকে প্রতি বছর অক্টোবরের প্রথম সোমবার ‘বিশ্ব বসতি দিবস’ হিসেবে উদযাপন করে আসছে। ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো একে বিশ্ব বসতি দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। পরের বছর থেকেই বিশ্বব্যপী পালন হয়ে আসছে দিবসটি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন