প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনকে পৃথক ৪৭ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
তাদের মধ্যে সালমান এফ রহমানকে সর্বোচ্চ ২৩ ও ১৩ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরী তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিন সকালে তাদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর সাত থানার পৃথক ৪৭ মামলায় ১৫ জনকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। প্রথমে আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর আসামিদের আইনজীবীরা তাদের জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতে সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে মতিঝিল থানার ১৭, মিরপুর থানার ৪, ধানমন্ডি ও বাড্ডা থানার একটি করে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে মিরপুর থানার ৭, বাড্ডা ও ধানমন্ডি থানার একটি করে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে মিরপুর মডেল থানার ৭, মোহাম্মদপুরের এক, ধানমন্ডি থানার তিন ও বাড্ডা থানার দু’টি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
জুনায়েদ আহমেদ পলককে মিরপুর মডেল থানার তিন, বাড্ডা থানার দুই ও ধানমন্ডির এক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এছাড়া রাশেদ খান মেননকে মিরপুর মডেল থানার দু’টি, হাসানুল হক ইনুকে মিরপুর-বাড্ডা-ধানমন্ডির থানায় একটি করে মোট তিনটি, দীপু মনিকে বাড্ডা থানার একটি, সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানকে মোহাম্মদপুর থানার দুই ও আদাবর থানার একটি, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালকে বাড্ডা থানার এক ও ধানমন্ডি থানার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
আর ডিবির সাবেক উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান ও যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি মাজহারুল ইসলামকে তেজগাঁও থানার এক মামলায় ও একাত্তর টিভির সাংবাদিক ফারজানা রুপাকে মোহাম্মদপুর থানার এক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
বাড্ডা থানার এক মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা রুস্তম আলী ও শাহাবুদ্দিনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত